ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভেশন

প্রকাশিত: ২২:২১, ২১ আগস্ট ২০২৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভেশন

সংগৃহীত ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে অসাংবিধানিক। এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। আর এটি ফিরিয়ে আনতে হলে যে প্রক্রিয়া প্রয়োজন এই স্বল্প সময়ে সেটি সম্ভব নয়। একই সাথে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ারও নজির নেই। আর হলেও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যা এই সময়ে অসম্ভব।
 

 

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে কিছু সম্ভব নয় বলে জানায় আওয়ামী লীগ । এমতাবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভেশন মিশন’। সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এই সুপারিশটি প্রদান করে সংস্থাটি।

সংস্থাটির যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি হেড অব মিশন টেরি এল ইসলে স্বাক্ষরিত এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানানো হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে অসাংবিধানিক।এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।আর এটি ফিরিয়ে আনতে হলে যে প্রক্রিয়া প্রয়োজন এই স্বল্প সময়ে সেটিও সম্ভব নয়।

আর জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার যে দাবি কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান করেছিল তাও সম্ভব নয় নয় । কেননা বাংলাদেশের মতো কোনো দেশে নির্বাচন পরিচালনার নজির জাতিসংঘের তেমন একটা নেই বললেই চলে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো দেশের নির্বাচন পরিচালনা করার ঘটনা খুবই বিরল। তারা যে বাংলাদেশে এমনটা করবে এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যদি জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন করতে হয়, সেজন্য বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হবে। এরপর এ ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হতে হবে। নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের আগে পুরো বিষয়টি সম্পন্ন করার মতো সময় হাতে নেই।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান কমিশন সাংবিধানিকভাবে অনুমোদিত এবং স্বাধীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কমিশনের কাছে নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করার আইনি ভিত্তি ও কাঠামো রয়েছে এবং সেটি করার ক্ষেত্রে এটিই অনুমোদিত একমাত্র সংস্থা।