ঢাকা,  রোববার  ১৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে পাওনা আদায়ের দাবিতে শ্রমিকদের অবস্থান

প্রকাশিত: ০০:৪১, ৬ মে ২০২৪

গাজীপুরে পাওনা আদায়ের দাবিতে শ্রমিকদের অবস্থান

ফাইল ছবি

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে টঙ্গীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

রোববার (৫ মে) এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা।

জানা যায়, ডেনিম নিটওয়্যার লিমিডেট নামের ওই কারখানা গাজীপুর মহানগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাশিমপুর সুরাবালী এলাকায় অবস্থিত। পাওনা পরিশোধ না করেই ঈদের ছুটিতে কারখানার মেশিনপত্র গোপনে অন্যত্র স্থানান্তর ও কারখানার মালিকানা হস্তান্তর করে মালিক লাপাত্তা হওয়ায় শ্রমিকরা গত ২১ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করে আসছে।

আন্দোলনরত শ্রকিরা জানান, গত ঈদুল ফিতরের ১৩ দিন ছুটি কাটিয়ে তারা গত ২১ এপ্রিল কারখানায় কাজে যোগদান করতে এসে দেখতে পান কারখানার গেটে শ্রম আইনের ১২ (১) ধারায় বন্দের নোটিশ ঝুলছে। পরে তারা জানতে পারেন ঈদে টানা ১৩ দিন বন্ধের সুযোগে কারখানা কর্তৃপক্ষ যাবতীয় মালামাল ও মেশিনপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে এবং কারখানাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কারখানা কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে গত ২৪ ‘লে-অফ’ নোটিশ টানিয়ে দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ সহস্রাধিক শ্রমিক গত ২৫ এপ্রিল ঢাকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে গিয়ে পাওনা আদায়ের দাবিতে অবস্থান নিলে ওই দিনই ‘লে-অফ’ নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়। একই সময় টঙ্গীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে সমঝোতার জন্য রোববার (৫ মে) বিকেল ৩টায় দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।

রোববার নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর ১২টায় শ্রমিকরা অধিদফতরের টঙ্গী কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেন। কিন্তু সেখানে দিনভর অপেক্ষার পরও মালিকপক্ষের কেউ আসেননি। মালিকপক্ষের উপস্থিতি ছাড়া উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তও দিতে পারেনি। ফলে শ্রমিকরা সেখানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন। রোববার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত আকাশে কালো মেঘের গর্জন উপেক্ষা করে শ্রমিকরা টঙ্গীতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালের সামনে অবস্থান করছিলেন।

ডেনিম নীটওয়্যার লিমিটেডের মেশিন অপারেটর মো: মনির হোসেন বলেন, কারখানার মালিকপক্ষ কখনো ১২ ধারায় নোটিশ, কখনো লে-অফ-এর নোটিশ, আবার কখনো সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন দিনক্ষণ নির্ধারণ করে শ্রমিকদের পাওনা আত্মসাতের জন্য তালবাহার আশ্রয় নিচ্ছে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর, গাজীপুর কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক প্রকৌশলী আহমেদ বেলাল বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ ছাড়া শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো ফয়সালা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। কারখানার মালিক বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তিনি দেশে আসা পর্যন্ত শ্রমিকদের অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু তারা মানতে নারাজ।