ঢাকা,  বুধবার  ০১ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নির্বাচনের প্রস্তুতি : ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে মাঠে

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২০ অক্টোবর ২০২৩

নির্বাচনের প্রস্তুতি : ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে মাঠে

সংগৃহীত ছবি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো মাঠ পর্যায়ে ভোটের সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল থেকে ১০টি আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যালট বাক্স, ব্যাগ ও গালাসহ ভোটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল প্রশিক্ষণ, যা এখন মাঠ পর্যায়ে চলছে।


অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নির্বাচনী সরঞ্জাম সব কেনা কাটা শেষ। এখন মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। প্রথমে আমরা দেশের ১০টি আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসে এসব সামগ্রী পাঠাচ্ছি। সেখানে এগুলো সংরক্ষিত থাকবে। পরে ডিস্ট্রিবিউশন হবে।


তিনি বলেন, বিএসটিআই রিপোর্ট এখন এসে পৌঁছায়নি। রিপোর্টটা তৈরি হয়েছে শুনেছি। যদি বিএসটিআই রিপোর্ট আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে আসে তাহলে এদিন থেকে ঢাকা অঞ্চলে আমরা পাঠাবো। আমরা প্রথম লটে ৪০ হাজার বক্স পেয়েছি। মোট ৮০ হাজার বক্স এবার কিনেছি। এর মধ্যে ৪০ হাজার সাপ্লাই পেয়েছি। এখান থেকে বিতরণ শুরু করছি।


ইসির এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, এবার আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রতিটি নির্বাচনী সরঞ্জাম পাওয়ার পর আবার টেস্টে দেয়া হবে। এই টেস্টে যদি আমরা সন্তুষ্ট হই তাহলে আমরা সেগুলো মাঠ পর্যায় পাঠাবো। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে যেগুলো যাবে সেই সরঞ্জামগুলোর মধ্যে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা, দুই ধরনের ব্যাগ, সিলগালা ইত্যাদি রয়েছে।


নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যবারের মতো এবারো আমরা নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর সময় পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেব। নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এসব সামগ্রী মাঠ পর্যায়ে পরিবহনের সময় তারা যথাযথ নিরাপত্তা দেবে। এবার তিন লাখের বেশি ব্যালট বাক্স লাগবে। পুরনো ব্যালট বাক্স রয়েছে দুই লাখ ৬৭ হাজার। আমরা ৮০ হাজার কিনেছি।


অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নির্বাচনী অঞ্চল হলো ১০টা। আটটি প্রশাসনিক বিভাগ ও ফরিদপুর এবং কুমিল্লা। আমরা এটাকে অঞ্চল হিসেবে ধরি। ব্যালট বাক্সগুলো অঞ্চলে যাচ্ছে। অন্যান্য সরঞ্জাম সরাসরি জেলায় যাবে।


নির্বাচনী বাজেট বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ভাতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। তিনি জানান, ব্যালট পেপার ছাড়াই নির্বাচনী সরঞ্জাম কিনতে ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৫ টাকা লাগছে। আর প্যাডের জন্য লাগবে আরো ৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ২২ কোটি টাকার নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে। এসবের সঙ্গে আরো যোগ হবে বিজি প্রেসে ব্যালট পেপার ছাপানোর খরচ, শ্রমিকরা যদি অতিরিক্ত সময় কাজ করে সেই পেমেন্ট এবং ভোট কর্মকর্তাদের ভাতা। বিজি প্রেস এরই মধ্যে কাগজ কেনার জন্য ৩৩ কোটি টাকা চেয়েছে। এতে ১ লাখ ৬১ হাজার রিম কাগজ কেনা হচ্ছে।


তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- এই দুই মিলে বাজেট হবে। বাজেট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরা সামনে একটা মিটিং করব। তারপরে বাজেটটা ফাইনাল হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরে ভোটের তফসিল দেয়া হবে। আর ভোটগ্রহণ হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।