ঢাকা,  মঙ্গলবার  ১৮ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পূর্বাচলে অবৈধ আবাসিক প্রকল্পের সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২২:৫২, ২৬ মে ২০২৪

পূর্বাচলে অবৈধ আবাসিক প্রকল্পের সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ

ফাইল ছবি

পূর্বাচল সরকারি আবাসিক প্রকল্পের আশপাশে অনুমতি ছাড়া গড়ে ওঠা আবাসিক প্রকল্পের সাইনবোর্ডগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ রোববার একটি রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন সঞ্জয় মন্ডল, নাসরিন সুলতানা ও সেলিম রেজা।

রাজউকের পক্ষে ছিলেন ইমাম হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মাইনুল হাসান।

মনজিল মোরসেদ বলেন, পূর্বাচলে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে সরকার পূর্বাচল টাউন প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে বরাদ্দ দিয়েছে। পরে ওই এলাকার আশপাশ কালীগঞ্জ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে এবং বিভিন্ন স্থানে প্লট বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জলাধারের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে।

“এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, উক্ত আবাসন কোম্পানিগুলোর বৈধতা নেই এবং এদের দ্বারা জনগণ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে।”

মনজিল মোরসেদ বলেন, তিন বছর আগে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করে উক্ত এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাধার যাতে ভরাট করতে না পারে সে ব্যাপারে স্থিতাবস্থার আদেশ দেয়।

পরে বিবাদী পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করে এবং বিভিন্ন অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদের কথা আদালত অবহিত করে।

“এর বছর তিনেক পরে সম্প্রতি পুনরায় উক্ত এলাকার বিভিন্ন জলাধারে আবাসন কোম্পানিগুলো আবার সাইনবোর্ড স্থাপন করে। তথ্যটি জানার পর এইচআরপিবির একটি টিম উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে এর সত্যতা পায় এবং আদালতে উক্ত অবস্থার ছবিসহ আবেদন দাখিল করে সাইনবোর্ডগুলো অপসারণের নির্দেশনা চায়।”

মনজিল মোরসেদ বলেন, “আদালত আদেশ বাস্তবায়ন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আগামী ২৯ জুলাইয়ের এর মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।”

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসন কোম্পানিগুলো হল- প্লাটিনাম পূর্বাচল সিটি, সিটি ক্লাউড, কানাডা সিটি, জমিনদার সিটি, সিটি রিম ঝিম, ড্রিমলান সিটি, হোমল্যান্ড পূর্বাচল সিটি, হোমটাউন পূর্বাচল সিটি, প্রীতি রিয়েলি স্টেট, মাসকট সিটি, পুষ্পিতা হাউজিং, নন্দন সিটি, বেস্ট ওয়েবসিটি, মালুম সিটি, মেরিন সিটি, স্বপন সিটি, ইউনাইটেড পূর্বাচল ল্যান্ড লিমিটেড, এজি প্রপার্টিজ লিমিটেড, নাভানা রিয়েল এস্টেট, বিশ্বাস বিল্ডার্স, নীলাচল হাউসিং, বাগান বিলাস, রূপায়ন ল্যান্ড, আদর্শ আইডিয়াল লিমিটেড, তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড, মেট্রোপলিটন ক্রিস্টিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং, গ্রাম্ফ ইন্টারন্যাশনাল, নর্থ সাউথ হাউসিং, মঞ্জিল হাউসিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট, শিকদার রয়েল সিটি, কপোতাক্ষ গ্রিন সিটি, ডিভাইন ফোল্ডিং, শতাব্দি হাউজিং, স্বর্ণ ছায়া রিয়েল এস্টেট, ভিশন ২১ ডিজাইন, ওশেন হ্যাভেন লিমিটেড, চন্দ্রিমা লিমিটেড এবং ফেয়ার ডিল শিপিং লিমিটেড।

এইচআরপিবি পক্ষে রিট আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, হাউজিং ও ভূমি সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ ১৪ জন।