ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী, শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নানা আয়োজন

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ৮ মে ২০২৩

কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী, শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নানা আয়োজন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী সোমবার (৮ মে)। এ উপলক্ষে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে এখন সাজ সাজ রব। কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে এখানে থাকছে তিন দিনব্যাপী নানা আয়োজন। এছাড়াও কুঠিবাড়ির আঙিনার পাশে বসছে গ্রামীণ মেলা।

কুষ্টিয়া শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। পদ্মা নদীর তীরবর্তী ছায়াশীতল ও নিরিবিল পরিবেশ থাকার কারণে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন এই কুঠিবাড়িতে। এখানে বসেই তিনি রচনা করেছেন কালজয়ী অনেক কাব্যগ্রন্থ, ছোট গল্প, নাটক ও উপন্যাস। তাইতো রবীন্দ্র সাহিত্যে শিলাইদহের গুরুত্ব অপরিসীম।

কবির স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়িতে বছর জুড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকলেও ২৫ বৈশাখ আসলেই কুঠিবাড়িত পা ফেলার জায়গা থাকেনা। কবি, সাহিত্যিক ও কবি ভক্তদের বিচরণে পরিপূর্ণতা পাই কবির জন্মবার্ষিকী।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশ্বকবি রব্রীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে ইতোমধ্যে সবধরণের প্রস্ততিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মো. আল আমিন ও কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ (৮, ৯ ও ১০ মে) শিলাইদহের কুঠিবাড়ি চত্বরের মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠানে থাকবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম নিয়ে। সেখানে আলোচনা সভা, গান, কবিতা আবৃত্তি, নাচ ও নাটকের আয়োজন থাকবে।

সোমবার (৮ মে) সকাল ১০টায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন পর্বে থাকবে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা।

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ এপ্রিল কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তিনি চির নতুনের কবি, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কবি। তিনি বাঙালীর আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক।

নিজ কর্মের মাধ্যমে নতুন একটি কালের সূচনা করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। কৈশোর পেরোনোর আগেই বাংলা সাহিত্যের দিগন্ত বদলে দিতে শুরু করেন। তার পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে বাঙালীর শিল্প-সাহিত্য। তিনি উপহার দেন ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসঙ্কলন। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।