ঢাকা,  শনিবার  ১৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চন্দনা-ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেন দুইটি বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ১১:১৩, ৫ মে ২০২৪

চন্দনা-ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেন দুইটি বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু

সংগৃহিত ছবি

ফরিদপুর থেকে দুটি কমিউটার ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রোববার (৫ মে) থেকে ট্রেন দুইটি বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করেছে। আজ রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ভোর ৫টায় চন্দনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।

তবে ভাঙ্গা ও চন্দনা কমিউটার নামে ট্রেন দুটি চালু হলেও এর ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। মূলত পদ্মা সেতুর টোলের কারণে স্বল্প দূরত্বে বেশি ভাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই।

রাজবাড়ী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ভোর ৫টায় ননস্টপ চন্দনা এক্সপ্রেস ট্রেন ছয়টি কোচ নিয়ে ভাঙ্গা-ঢাকার উদ্দেশ্য রাজবাড়ী স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রথম দিন হিসেবে যাত্রীর চাপ কম ছিল। কারণ চন্দন এক্সপ্রেসের পরে সকাল ৬টায় লোকাল ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ও সোয়া ৬টায় ঢাকাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। এক ঘণ্টার আশপাশে আরও দুইটি ট্রেন থাকায় যাত্রীর চাপ কম ছিল।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস। ট্রেনটিতে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার এবং ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।

আরও জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা ননস্টপ চন্দনা কমিউটার সার্ভিস রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫টায়, ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬ টা ১৫ মিনিটে। এরপর এই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নামে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাঁড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, আর ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়। ফিরতি যাত্রায় ভাঙ্গা কমিউটার ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাঁড়বে সন্ধ্যা ৬ টায়, ভাঙ্গায় এসে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। এরপর এই ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নামে ভাঙ্গা ছাঁড়বে রাত ৮টা ১০ মিনিটে। আর রাজবাড়ী স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ৫২৮টি শোভন শ্রেণির আসন থাকবে।

ভাড়া যে কারণে বেশি 

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলকারী ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেনটির ভাড়া যাত্রী প্রতি ২২৫ টাকা। ট্রেনটি মাঝের তিন স্টেশন- মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচরে থামবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও ১০ কিলোমিটার পরের স্টেশন পদ্মা স্টেশনের ভাড়া ১৯৫ টাকা। অর্থাৎ সেতু পার হতে গেলেই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা। এরপর পরের স্টেশন শিবচর ২০৫ টাকা আর সর্বশেষ ভাঙ্গা স্টেশনে ২২৫ টাকা। অন্যদিকে ভাঙ্গা থেকে রাজবাড়ী রুটে চলাচলকারী চন্দনা কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ রাজবাড়ী থেকে এই দুই ট্রেনে ঢাকা ফিরতে ২৯০ টাকা খরচ হবে যাত্রীদের।