ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

যেভাবে পাঁচশ’র মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেল উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১৮ জুলাই ২০২০

যেভাবে পাঁচশ’র মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেল উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী

পাঁচশ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৪৯৯ নম্বর। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে স্রোতশ্রী রায় নামে এক ছাত্রী। তার এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের রহস্য আর কিছুই না, মোবাইলের আসক্তি কাটিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করা।

ভারতীয় সংবাদমধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্রোতশ্রী রায় ভারতের কলকাতার বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা। মাধ্যমিকে ভালো ফল করার পর, নতুন মোবাইল পেয়েছিলো মেধাবী ছাত্রী স্রোতশ্রী রায়। তারপর থেকে সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে কখনো ফেসবুক, কখনো হোয়াটস্অ্যাপ। কখনো আবার অন্য কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মগ্ন হয়ে থাকত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লসের এই কৃতী ছাত্রী। এমনকি মোবাইলের সঙ্গে ১২ ঘন্টাও কেটে যেত কখনো কখনো। এতে করে টেস্ট পরীক্ষার ফল যথারীতি খারাপ আসে। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো। সেই মোবাইলকে জীবন থেকে আলাদা করেই উচ্চমাধ্যমিকে পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেল এই ছাত্রী।

স্রোতশ্রীর বাবা-মা দু’জনই শিক্ষক। স্রোতশ্রীর ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার। মোবাইলের প্রতি আসক্তির কথা নিজেই জানান স্রোতশ্রী। কিভাবে পড়াশোনার মধ্যে মোবাইল প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিলো, সেই অভিজ্ঞতাও জানায় সে। নিজের ফল জানার পর স্রোতশ্রী বলেছে, মোবাইলের জন্য আমার টেস্টের ফল ভাল হয়নি। তারপর মোবাইল থেকে দূরেই থাকতাম। ভাল লাগছে, পাঁচশর মধ্যে আমি ৪৯৯ পেয়েছি।

জানা গেছে, স্রোতশ্রী ছাড়াও আরো তিন জন পেয়েছে ৪৯৯ নম্বর। তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার বড়জোরা হাইস্কুলের গৌরব মণ্ডল। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের অর্পণ মণ্ডল এবং হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ঐকিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।

গাজীপুর কথা