ঢাকা,  মঙ্গলবার  ০৭ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ

মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার প্রতিশোধ নিতে গত ১৩ এপ্রিল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরান ইসরায়েল ভূখণ্ডে সরাসরি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করলেও বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় আঘাত হানে। পরমুহূর্তেই, পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানকে পালটা আঘাতের হুমকি দেন।

ইসরায়েলের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পশ্চিমা মিত্ররা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করে। তবে ইরানের ভাষায়, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী অপরাধ ও ইরানের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার রক্ষার নিমিত্তেই ইরান ইসরায়েলে এমন নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশারদদের ভাষায়, আগামী দিনগুলোয় ইরানের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে দারুণভাবে প্রভাবিত করবে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে নজিরবিহীন ঘটনা বলে উল্লেখ করছে। কারণ, প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের কোনো আক্রমণে ইরান সামরিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে, এই নজিরবিহীন ঘটনাকে অনেকে ইসরায়েলের পাতানো ফাঁদে ইরানের পা দেওয়া হিসেবে উল্লেখ করলেও বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন ও জটিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটটি মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরানের নিকট ইসরায়েলে সামরিক হামলা চালানোর সবচেয়ে উপযোগী সময় ছিল বলে অনেক বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন এবং তাদের মত ইরানের এই হামলার পিছনে কয়েকটি শক্ত কারণ রয়েছে।

ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন হামলার প্রাথমিক বা তাৎক্ষণিক কারণটিও কিন্তু গুরুতর। বিগত বছরগুলোতে ইরানের ধারাবাহিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় বোমা হামলা চালিয়েছে ও কাশেম সুলাইমানির মত গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় ইরানিয়ান নাগরিকদের হত্যা করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোন সামরিক সংঘাতে জড়ায়নি।

গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু করে, যা এখনো চলমান আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমালোচনা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র নাগরিকদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে গত ১ এপ্রিল ইসরায়েল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানিয়ান দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়ে ইরানের কিছু শীর্ষ কূটনৈতিক ও একজন জেনারেলকে হত্যা করে। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েল বোমা হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে এবং ইরানের বেঁধে দেওয়া সীমারেখা অতিক্রম করেছে। এর পরপরই, ইরান যে ইসরায়েলের হামলার সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তা জোরেশোরে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রচার হতে থাকে। অবশেষে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরান ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

ইরানের এই নজিরবিহীন আক্রমণের অন্য একটি কারণ দীর্ঘদিন ধরে ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েল বিরোধী জনরোষ প্রশমনে একটি পদক্ষেপ। কাসেম সুলাইমানিকে হত্যার পর থেকেই ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মনোভাব প্রবল হতে থাকে। ইরানের সরকার সেই প্রবল ক্ষোভকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খানিক প্রশমিত করার চেষ্টা করলেও গত ১ এপ্রিল ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলা ইরানিদের মানসিকভাবে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ফলে তারা ইরানকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য ইরানের ইব্রাহিম রাইসি সরকারকে চাপ দিতে থাকে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি অনুধাবন করেন, জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ যদি রাইসি সরকার না ঘটায় তবে ইরানি জনগণ সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে পারে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর সাধারণ ইরানিয়ানরা দেশব্যাপী বিজয় উদ্‌যাপন করেছে।

ইসরায়েলে ইরানের আক্রমণে আরো একটি কারণ হতে পারে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের যে প্রক্সি সামরিক গোষ্ঠী রয়েছে, যাদের একত্রে এক্সিস অব রেসিস্ট্যান্ট বলা হয় (যেমন : লেবাননে হিজবুল্লা, ফিলিস্তিনে হামাস, ইরাকে ইরাকি রেসিসটেন্ট আর্মি, ইয়ামেনে হুতি ইত্যাদি), তাদের আরো বেশি সক্রিয় করে তোলা, যাতে তারা ইরানের আঞ্চলিক ও ভূ-কৌশলগত স্বার্থ বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা করে।

এছাড়াও ইরানের মত আঞ্চলিক শক্তির ইসরায়েলের আগ্রাসন ও অবৈধ দখলদারিত্বের সমালোচনার পাশাপাশি এমন সামরিক প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ছায়ায় বেড়ে ওঠা সামরিক দলগুলোকে নিজেদের লক্ষ্যের ব্যাপারে আরো আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।

বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমা হামলায় হামাস পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে ইরানের সামরিক অংশগ্রহণ হামাসকে পুনরায় শক্তি অর্জনে সাহায্য করবে।

এছাড়াও ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে, ইরানের সামরিক পদক্ষেপে ইরানের মিত্রদের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা। ইরান, চীন ও রাশিয়া কেন্দ্রিক মধ্যপ্রাচ্যে যে বলয় সৃষ্টি হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে তা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে কাজ করছে।

গত বছরই আমরা দেখেছি, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই বলয়, বিশেষত চীন প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। সে বিবেচনায় সৌদি আরবও ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে।

সাম্প্রতিক ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ডাকা জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভেসিলি নেভেনিজিয়া ইসরায়েলে ইরানের আক্রমণকে ইরানের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারের নিরিখে সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত জিইয়ে রাখার জন্য ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্র, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের ভুল বৈদেশিক নীতিকে দায়ী করেন। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমিত পরিসরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে সামরিক হামলা চালিয়েছে চীনের সে ক্ষেত্রে সমর্থন রয়েছে। তবে, ওয়াং ই বলেন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা উচিত। চীন ও রাশিয়ার এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা জানিয়েছে ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ইরানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। তবে ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের প্রেক্ষিতে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েল যেভাবে বোমা হামলা চালিয়েছে এবং সেক্ষেত্রে তার পশ্চিমা মিত্রদের যে সমর্থন পেয়েছে, ইরানের ক্ষেত্রে তা অনেকটা জটিল হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তভাবে ইসরায়েলের পাশে থাকার কথা বললেও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ইচ্ছানুযায়ী ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে আঞ্চলিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারা অনীহা প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই অনীহার পিছনে কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে। যেমন : নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বর্তমানে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বিভিন্ন আন্দোলন করছে। তারা বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েলকে দেওয়া আর্থিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের সমালোচনা করছে, এমনকি বাইডেন-ব্লিঙ্কনের প্রায় প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবাচ্ছে। কারণ যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আঞ্চলিক পর্যায়ে এই সংঘাত বিস্তারে সহায়তা করে, তবে ইরানের প্রক্সি সামরিক গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ, বিশেষত জ্বালানি সরবরাহ ও সুয়েজ খাল কেন্দ্রিক এশিয়ার সাথে যোগাযোগ চরমভাবে ব্যাহত হতে পারে।

তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, অর্থাৎ, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আগ্রাসী ফিলিস্তিন নীতির সমালোচনা ও যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আন্দোলন ও ক্যাম্পেইন অব্যাহত আছে। এছাড়াও হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলের নাগরিকদের স্বজনরা এরইমধ্যে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্দোলনকারীরা নেতানিয়াহুকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কথা বলছেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরানের সামরিক সক্ষমতা ও ইরানের প্রশিক্ষিত ও বিশ্বস্ত প্রক্সি সামরিক গোষ্ঠী, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি হুমকিস্বরূপ যা সার্বিকভাবে ইসরায়েলের অধিবাসীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও ভীতির উদ্রেক ঘটাতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

তবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের হামলার জবাবে পালটা হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাতকে কোনোভাবেই আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ দিক। কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার প্রতি-হামলার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর। কিন্তু সেক্ষেত্রে ইসরায়েলকে এটাও মাথায় রাখতে হবে, ইরানের সামরিক উপস্থিতি ইসরায়েলকে অনেকগুলো ফ্রন্টে যুদ্ধ জড়াতে বাধ্য করবে, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও যে আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিন সংঘাতকে আঞ্চলিক পর্যায়ে নিয়ে যায়, এই আরব দেশগুলো ইসরায়েল সাথে পুনরায় সম্পর্কচ্ছেদ করতে পারে।

তবে ইরানের সাথে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে কি না তা নির্ভর করবে আগামী মার্কিন নির্বাচনে ইসরায়েল লবির তৎপরতার উপর। বস্তুত ইসরায়েল লবি দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে চেষ্টা করে আসছে। যদিও বর্তমান হামলা প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল লবি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিকে সামরিকভাবে ইরানের বিপরীতে নিতে পারবে কি না, তা বলা দুষ্কর।