ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা, অতঃপর ...

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা, অতঃপর ...

সংগৃহিত ছবি

আঠারোর্ধ্ব প্রেমিকা ঢাকায় বাসা বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। আর প্রেমিক নেত্রকোনার কলমাকান্দার খারনৈ ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার মৃত আইয়ুব আলী খানের ছেলে আরিফ খান (২১) গাজীপুরে গার্মেন্টে চাকরি করেন। দুজনের বাড়ি একই উপজেলায় হলেও ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকা নিজের সবটুকু উজার করে দেন প্রেমিকের কাছে। 

এবার ঈদের ছুটিতে দুজনে বিয়ে করার কথা ছিল। বিয়ের জন্য প্রেমিক তার পরিবারকে রাজি করাতে প্রেমিকাসহ অভিভাবককে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন। শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত চলে দুই পরিবারের আলোচনা। 

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দিনের বেলায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে মিমাংসার আশ্বাসে প্রেমিকার অভিভাবক রাতেই বাড়িতে ফেরত চলে আসেন। ওই নারী স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে থেকে যান প্রেমিকের বাড়িতে। এরপর প্রেমিকার ওপর চলে প্রেমিক পরিবারের লোকজনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অত্যাচারের একপর্যায়ে প্রেমিকা দৌঁড়ে আশ্রয় নেন প্রতিবেশীর বাড়িতে।

৯৯৯ ফোন পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিক পালিয়ে যান। পরে প্রেমিকা কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

হাসপাতালে এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী আরো জানান, চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে নিজের দেহ ও মন দেওয়ার পাশাপাশি বিয়ের গহনা ও ব্যবসার করার জন্য জমানো এক লাখ ২০ হাজার টাকাও আরিফের হাতে তুলে দিয়েছেন। এখন স্ত্রী মর্যাদা না পেলে সমাজে মুখ দেখাব কী করে। আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছু রইল না বলে জানান প্রেমিকা।

প্রেমিক আরিফের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তার মামা কছিম উদ্দীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ফেসবুকে মেয়ে-ছেলের সঙ্গে কথা বলছে শুনেছি। গত শুক্রবার মেয়ে ভাগিনার বাড়িতে চলে এসেছে। আসার পর অনেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তাদের চার বছরের সম্পর্কের জোরালো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। যেহেতু আমি গ্রামের বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করি ও ভাগিনা থাকে ঢাকায়। এসব বিষয়ে ভাগিনা মামার কাছে প্রেমের বিষয়দি শেয়ার করার কথা নয়। প্রেমের বিষয়টি জানার পর গত ২৭ রমজানে মেয়ের চাচার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি।

কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, ৯৯৯ ফোনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে হাসপাতালে যান প্রেমিকা। যেহেতু ফেসবুকে পরিচয় ভুক্তভোগী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করতে পারবে।