ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সিরাজগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, কারাগারে ৭ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৬:৩৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, কারাগারে ৭ পরীক্ষার্থী

.

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পার পেলেও মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়েন ৭ পরীক্ষার্থী।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসলে তাদের আটক করা হয়। পরে ৭ জন পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোর্পাদ্য করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত (২৩ সেপ্টেম্বর) তাদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এঘটনায় নিয়োগ কমিটির (সদস্য-সচিব) শিমুল আক্তার বাদী হয়ে আজ সোমবার সকালে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
 
আটকরা হলেন, সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন (রোল নম্বর- ৩২০০০২৯৮), তাড়াশ উপজেলার নিমগাছীর বিষমডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন (রোল নম্বর- ৩২০০২৯০৩), কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম সুজন (রোল নম্বর-৩২০০২৩৯৮), শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের, এলাহী প্রামানিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (রোল নম্বর- ৩২০০১১৬৮), উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবর রহমান (রোল নম্বর- ৩২০০৪১২৫), কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লা বেলালী (রোল নম্বর- ৩২০০৪৬০৫) ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের হেনা মন্ডলের ছেলে এনামুল হক (রোল নম্বর- ৩২০০৪৩৩৯)।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অফিস কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা হয়। পরে আসামিদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর সময় তাদের হাতের লেখার সাথে লিখিত পরীক্ষার মিল পাওয়া যায়নি। পরে পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করে তাদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যদের দ্বারা পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৭ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় ৪১৭, ৪১৯ ও ৪২০ ধারা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হলো। প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো। এই ৭ জনের লিখিত পরীক্ষা যে দিয়েছিল, তাদের সম্পর্কের খোঁজ নেওয়া হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলাসহ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।