ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ফেনী নদীতে ধরা পড়ল ৬ মণ ইলিশ, বিক্রি হলো ৪ লাখে

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ২৩ আগস্ট ২০২৩

ফেনী নদীতে ধরা পড়ল ৬ মণ ইলিশ, বিক্রি হলো ৪ লাখে

.

ফেনী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ছয় মণের বেশি ইলিশ। মাছগুলো আড়তে নিয়ে নিলামে তুললে তিন মাছ ব্যবসায়ী ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকায় কিনে নেন। সেখান থেকে পরে বাজারে এনে ৫০টি বড় ইলিশ এক লাখ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ফেনীর উপকূলীয় উপজেলার সোনাগাজীর প্রবাহমান বড় ও ছোট ফেনী নদীর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, জালে দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের ৫০টি বড় ইলিশ ছিল। যেগুলো এক লাখ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

জেলে সফি উল্যাহ বলেন, জালে বড় ইলিশের পাশাপাশি ছোট ইলিশও ধরা পড়েছে। ইলিশগুলোর মধ্যে ১০টি আড়াই কেজি ও ৪০টি দুই কেজি ওজনের ছিল। বড় ও ছোট ফেনী নদীর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় উপজেলার চর খোন্দকার ও আদর্শগ্রাম এলাকার জেলে মানিক মিয়া, সফি উল্যাহ, আবদুল মতিন ও নুর নবী জাল ফেলেন।

মাছ ব্যবসায়ী হায়দার আলী জানান, আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ২০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের ২ হাজার টাকা ও এক কেজি ওজনের ইলিশগুলো ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন তারা। অন্য ইলিশগুলো ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় জেলেদের জালে এখন বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন।

এদিকে অন্যান্য বারের চেয়ে চলতি বছর তুলনামূলক কম ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলেন জানান জেলেরা।

স্থানীয় জেলেদের দেয়া তথ্য মতে, বড় ফেনী নদীর মোহনায় অর্থাৎ সন্দ্বীপ চ্যানেলে নিয়মিত মাছ ধরতে আসে সন্দ্বীপ, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। তারা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরেন। বঙ্গোপসাগর থেকে ফেনী নদী হয়ে ফেনীর সীমানায় মাছ চলাচলে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অসংখ্য কারেন্ট জাল ব্যবহার। ফলে ফেনী অংশে কমছে মাছের পরিমাণ। 

বড় ফেনী নদীর মোহনায় কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ নিধন বন্ধে কোস্টগার্ডের সহায়তা চেয়েছে জেলা মৎস্য অফিস ও জেলা প্রশাসন। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, ফেনী উপকূল সীমানার বাইরে হওয়ায় সরাসরি আমাদের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। গত মাসে চট্টগ্রাম থেকে কোস্টগার্ডের একটি প্রতিনিধি দল ফেনী উপকূল পরিদর্শন করে গেছে। এখানে কোস্টগার্ডের অস্থায়ী ক্যাম্প যদি স্থাপন করা যায় তবে এ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে।