বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চেহারা। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের স্বাক্ষী এই স্থাপনাটির খসড়া নকশা শতভাগ প্রস্তুত। টেন্ডার কার্যক্রম শেষে এ মাসেই ওয়ার্ক অর্ডার পেতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম। এ সময় বাংলাদেশ গেমসসহ অন্যান্য ফেডারেশনের ব্যস্তসূচি থাকলেও, কয়েক ধাপে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা মতিঝিলে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ৬৬ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসে ক্রিকেট, ফুটবলের পাশাপাশি এশিয়া কাপ হকি, আর্চারি, অ্যাথলেটিক্স আয়োজনের উদাহরণ আছে এই স্টেডিয়ামে। লিওনেল মেসি-জিনেদিন জিদানের মতো তারকারাও মাতিয়ে গেছেন এই মাঠ। পাশাপাশি জাতীয় দিবস আর রাষ্ট্রীয় আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
এবার স্টেডিয়ামের মূল অবকাঠামো ঠিক রেখেই সাজানো হয়েছে নতুন ডিজাইন। যার খসড়া নকশাও চূড়ান্ত। যদিও করোনায় বছরখানেক পিছিয়েছে সংস্কার কার্যক্রম। তবে টেন্ডার কার্যক্রম শেষে এ মাসেই ওয়ার্ক অর্ডার পেতে যাচ্ছে স্টেডিয়ামটি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মো. মাসুদ করিম এ বিষয়ে বলেন, এলএডি ফ্লাড লাইট, টার্ফ, মাঠ উন্নয়ন এগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজে হবে। আমরা সেভাবেই এর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এখন এটা মুল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি, এক সপ্তাহ অথবা ১০ দিনের মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই এর কার্যাদেশ দিয়ে দিব।
শুরুতেই প্রেসিডেন্ট বক্স ও ভিআইপি জোন দিয়ে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। এলএডি ফ্লাড লাইট, শেড, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ আমদানি নির্ভর স্থাপনার কাজ হবে দ্বিতীয় পর্বে। আর সবার শেষে মূল মাঠ ও অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকের কাজ করা হবে। যেখানে ভিআইপি প্রবেশ পথে হল অব ফেমের ফলক নির্মাণেও আছে পরিকল্পনা।
মো. মাসুদ করিম বলেন, বাংলাদেশ গেমসসহ অন্যান্য ফেডারেশনের ব্যস্তসূচি থাকলেও, কয়েক ধাপে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই প্যাকেজগুলো করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ক্রীড়া ইভেন্টগুলোকে গুরুত্ব দিয়েই সংস্কার কাজ করা হবে।
সংস্কারের পর হয়তো পুরো স্টেডিয়ামই পাবে নতুন রুপ। কিন্তু বছরের পর বছর বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হওয়া স্টেডিয়াম পাড়া কি বদলাবে? যেখানে ব্যবসা নয়, থাকবে শুধু ক্রীড়াবিদদের পদচারনা।
গাজীপুর কথা