ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কমে যেতে পারে প্রতি মিনিটে ৬০ সেকেন্ডের সংখ্যা

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১৯ জানুয়ারি ২০২১

কমে যেতে পারে প্রতি মিনিটে ৬০ সেকেন্ডের সংখ্যা

এক মিনিট সমান ৬০ সেকেন্ড, এটার কোনো দিন কোনো পরিবর্তন আসতে পারে সেটা আমরা কোনো দিন ভাবতেই পারি না। শৈশবকাল হতেই এটা আমাদের জানা। তবে এই ধারণাটি এবার চিরতরে পরিবর্তিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা ভাবছেন যে, এক মিনিটে সেকেন্ডের যে সংখ্যা সেটা হ্রাস হয়ে যেতে পারে। ব্রিটিশ মিডিয়া টেলিগ্রাফ তাদের করা একটি প্রতিবেদনে এমন ধরনের খবর প্রকাশ করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণা হতে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর নিজের অক্ষের উপরে যে ঘূর্ণন গতি সেটা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, ২০২০ সালের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনের সংখ্যা ছিল ২৮ টি। এটি ১৯৬০ সালের পর হতে সর্বাধিক সংখ্যক কম দিন।

বিজ্ঞানীরা আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেছেন ২০২১ সালে আরও ছোট দিন হতে পারে। সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌরদিনের সমান।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে একবার ঘুরতে সময় নিচ্ছে ২৩ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ৫৯.৯৯৯৮৯২৭ সেকেন্ড। এর ফলে ২০২১ সাল সাধারণ বছরের থেকে ১৯ মিলি সেকেন্ড ছোট হবে, যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ০.৫ মিলি সেকেন্ড কম।

সময়ের এই অসামঞ্জস্য নতুন নয়। হ্রাস পাওয়া সময়ের হেরফেরের সমাধান করতেই কোনো কোনো বছরে এক ’লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয়। ষাটের দশকে আণবিক ঘড়ি আবিষ্কারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ বার এমন ’লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয়েছে। শেষবার ’লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয় ২০১৬ সালে।

তার পর থেকে, পৃথিবী তার পূর্বের স্বাভাবিক ঘূর্ণনের যে গতি সেটার তুলনায় দ্রুত গতিতে ঘুরছে, এমনটাই বলছে গবেষণায়। সুতরাং বিজ্ঞানীরা সময়ের সমতাকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি ’ঋণাত্মকলিপ সেকেন্ড’ প্রনয়ন করবার জন্য পরামর্শ দেন।

যদিও আপাতদৃষ্টিতে এতটা অল্প সময়ের যে তফাৎ সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না সাধারনের নিকট, তবে এটি বৈজ্ঞানিক রিসার্স, কৃত্রিম উপগ্রহ সিস্টেম ডিরেকশন এবং নেভিগেশন সিস্টেম পরিচালনার উপর বেশ বড় রকমের প্রভাব আছে।

গাজীপুর কথা