ঢাকা,  মঙ্গলবার  ১৮ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

১১৩ রানে অলআউট, ফাইনালে অচেনা হায়দরাবাদ

প্রকাশিত: ২২:৩০, ২৬ মে ২০২৪

১১৩ রানে অলআউট, ফাইনালে অচেনা হায়দরাবাদ

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে আইপিএলের ফাইনালে বৃষ্টির চোখ রাঙানি ছিল। কিন্তু প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করেনি। বরং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারদের ব্যাটিং হতবাক করেছে। আইপিএলের এই আসরে যে দলটির জন্য দুইশ-আড়াইশ রান করা মামুলি ব্যাপার ছিল, তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ফাইনালে করলো মাত্র ১১৩ রান! চলতি আইপিএলে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউট হলো ১৮.৩ ওভার খেলে।

চেন্নাইয়ের চেপুকে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। ইনিংসের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে (৫) বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। বিপজ্জনক ব্যাটার ট্র্যাভিস হেডকে তো দ্বিতীয় বল খেলতেই দিলেন না ভৈরব অরোরা। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার প্রথম বলেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ হন। রাহুল ত্রিপাঠীও (৯) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। স্টার্কের বলে রমনদীপ সিংকে ক্যাচ দেন তিনি।

২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৭ রান দিয়ে বাজে বোলিংয়ের দৃষ্টান্ত তৈরি করেন ভৈরব। বাকিটা সময় কলকাতার বোলারদের দাপট। ৭৭ রানে হায়দরাবাদের ৭ উইকেট পড়ে যায় আন্দ্রে রাসেলের বোলিংয়ে। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট নেন উইন্ডিজ বোলার।

দলীয় ৯০ রানে হার্ষিত রানার বলে শেষ প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার আইনরিখ ক্লাসেন (১৬) বিদায় নেন। প্যাট কামিন্স জাতীয় দলের সতীর্থ মিচেল স্টার্কের হাতে জীবন পেয়ে দলীয় স্কোর একশ পার করেন। অবশ্য তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে তার করা ২৪ রানই ছিল দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

কামিন্সকে ফিরিয়ে কলকাতার সেরা বোলার রাসেল। ২.৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান স্টার্ক ও ভৈরব।