কলকাতায় উদযাপিত হলো শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী
“শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” এই প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে বুধবার (১৮ অক্টোবর) শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বানী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে অনাথ ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাবার।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা অতিথিকে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর উপ-হাইকমিশনার, আন্দালিব ইলিয়াসের সভাপতিত্বে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের উপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন মিজ তুষিতা চাকমা, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)। আলোচনায় অংশ নেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক)।
আলোচনা সভায় উন্নয়নকর্মী ও গবেষক এবং শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু মিজ নাতাশা আহমেদ আবেগতাড়িত কন্ঠে আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে যেন কোনো শিশুকে রাসেলের মতো ভাগ্য বরণ করতে না হয়।
উপ-হাইকমিশনার তার বক্তব্যে শেখ রাসেলের সংক্ষিপ্ত কিন্তু নির্মল জীবনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে নির্মলতার জয় হবেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমাদের অঙ্গীকার, বাংলাদেশের সকল শিশুর জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবশেষে কবিতা আর নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।