ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মসিকের ৪৬৫ পয়েন্টে কোরবানি, ১২ ঘণ্টায় হবে বর্জ্য অপসারণ

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ২৮ জুন ২০২৩

মসিকের ৪৬৫ পয়েন্টে কোরবানি, ১২ ঘণ্টায় হবে বর্জ্য অপসারণ

মসিকের ৪৬৫ পয়েন্টে কোরবানি, ১২ ঘণ্টায় হবে বর্জ্য অপসারণ

এবারের ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য ময়মনসিংহ নগরীর ৩৩ ওয়ার্ডের ৪৬৫টি পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। একই সঙ্গে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু। সেই লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মসিক সূত্র জানায়, এ বছর সিটি কর্পোরেশনে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে ৬০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একটি এসকাভেটর, দুটি লোডার, সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য সংগ্রহের গাড়ি এবং জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর জন্য ৬টি গাড়ি প্রস্তুত থাকবে। আর পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দিয়েছে মসিক।

জানা গেছে, নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য সিটি কর্পোরেশন লিফলেট বিতরণ ছাড়াও স্থানীয় ক্যাবল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিতরণ করা ওই লিফলেটে নির্ধারিত স্থান বাদে কোরবানির পশু জবাই না করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটুর নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

অন্যান্য বছর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সফলতা দেখিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এবার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন নগরপিতা ইকরামুল হক টিটু।

ঢাকা পোস্টকে মেয়র টিটু বলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ইতোপূর্বেও কোরবানি পশু বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অপসারণ করেছে। এবার ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে কোরবানি পশু বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে এবং রাত ২টার মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পশু কোরবানির জন্য থেকে নগরীর ৪৬৫টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ফিনাইল ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়েছে এবং বর্জ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি হাটে এবং ওয়ার্ডে ২০ হাজার বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে।

এ কাজে নাগরিকদের সহযোগিতা সর্বাগ্রে কামনা করে মসিক মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে এবং রাস্তার উপর পশু কোরবানি থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ যেখানে সেখানে না ফেলে সিটি কর্পোরেশন থেকে সরবরাহকৃত ব্যাগে ভরে নির্ধারিত স্থানে রেখে দিতে হবে। কেউ যদি নিজ আঙিনায় কোরবানির পশু জবাই করে তবে নিজ দায়িত্বে তাকে দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এসব কাজে নাগরিকগণের যদি সহযোগিতা থাকে তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।