ঢাকা,  মঙ্গলবার  ০৭ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বজ্রপাত রোধে সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৮ হাজার তালগাছের চারা রোপণ

প্রকাশিত: ১২:০৪, ১৪ জুন ২০২৩

বজ্রপাত রোধে সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৮ হাজার তালগাছের চারা রোপণ

ফাইল ছবি

বজ্রপাত প্রতিরোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে ৮ হাজার ৭১৫টি তালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাত প্রতিরোধে এই তালগাছ রোপণ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সড়কের দৃষ্টি নন্দন হবে অন্য দিকে স্থানীয়রা এ থেকে নানা সুবিধা ভোগ করবে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বজ্রপাতের হটস্পট এলাকা তাড়াশ উপজেলায় ৪ হাজার, উল্লাপাড়ায় ২ হাজার, রায়গঞ্জে-১ হাজার ২ শতসহ মোট ৮ হাজার ৭১৫টি তালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের চকচৌবিলা গ্রামের ১ কিলোমিটার গ্রামীণ পাকা সড়কের দুই পাশে সারি সারি তালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই চাপা রোপণের পরে গরু ছাগলের হাত থেকে রোপণকৃত গাছ রক্ষায় চারদিকে বাঁশের খুঁটি ও জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এতে সড়কটি দৃষ্টি নন্দন হয়েছে।

উপজেলার চক-চৌবিলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, মোতালেব জানান, আমাদের গ্রামের সড়কে কৃষি অফিস থেকে তালগাছের চারা রোপণ করায় আমরা খুশি। এই গাছ বড় হলে আমরা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাবো। সেই সঙ্গে তালগাছ থেকে তাল ও রস পাবো। এর ছায়ায় আমরা বিশ্রাম নিতে পারবো। পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় পাবে। এলাকায় সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে।

এসময় উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুর্বনা ইয়াসমিন সুমিসহ কৃষি কর্মকর্তারা ও গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় বিগত দিনে বজ্রপাতে অনেক কৃষকসহ সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলা বজ্রপাতের হটস্পট। তাই এ থেকে রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোতে তালগাছ রোপণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই গাছগুলো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ থেকে রক্ষাণাবেক্ষণ করবো। তালগাছ বড় হলে একদিকে এলাকার বজ্রপাত প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে। একই সাথে সড়কের মাটিক্ষয়, ঝড়-ঝাপ্টাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় মানুষ এই গাছ থেকে অনেক সুবিধা পাবে। এই প্রকল্পের অধীনে পর্যায়ক্রমে তালগাছের চারা রোপণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।