ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জয়পুরহাটের মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে সারা দেশে, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ১০ এপ্রিল ২০২৩

জয়পুরহাটের মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে সারা দেশে, কৃষকের মুখে হাসি

সংগৃহীত ছবি

ধান আলুর জন্য বিখ্যাত জেলা জয়পুরহাট। এবার এই জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার। বিঘাপ্রতি মাত্র ৩ হাজার টাকা খরচ করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন কৃষকরা। দাম ভালো পাওয়ায় তাই চাষিদের মুখে দীর্ঘ হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। সারা বছর কম বেশি এই সবজিটির চাষ হলেও কৃষকরা আলু জমি থেকে তুলে নেওয়ার কয়েকদিন পর একই জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করতে পারেন। তাই জমিতে কোনো চাষ করতে হয় না তাদের। আলু তোলার পরপর দুই একবার সার ও সেচ দিলেই ফলন আসতে শুরু করে। যা থেকে পরবর্তী দুইমাস পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার ফলন পাওয়া যায়। জয়পুরহাট জেলার সব উপজেলায় কম বেশি মিষ্টি কুমড়ার চাষ হলেও এবার সবচেয়ে বেশি এই সবজির চাষ হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা বাজারে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করছেন মাত্র ৯ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে। বিঘাপ্রতি তাদের বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকার মতো। প্রতি হেক্টরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। 

ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দরে মিষ্টি কুমড়া কিনছেন। এই কুমড়া রাজধানী, ঢাকা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নড়াইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। 

কৃষকদের অভিযোগ, গত বছরের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। যার কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ। একটি কোম্পানির কাছ থেকে নেওয়া বীজের গাছ ফলন আসার সময় মরতে শুরু করেছিল। এতে ফলন কম হয়েছে। এছাড়া গত বছর মিষ্ট কুমড়া ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবার তা ৩/৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা আক্কেলপুর উপজেলার পূর্ব মাতাপুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে প্রথমে আলুর আবাদ করেছিলাম। আলু পরপরই মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করেছিলাম। এক বিঘা জমির মিষ্ট কুমড়া ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। সবজিটি উৎপাদনে এক বিঘা জমিতে ২/৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। 

পাঁচবিবি উপজেলার কদুবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, এই ফসল চাষে একবার সেচ ও হালকা কিছু সার দিতে হয়। এতে শ্রমিকসহসহ সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার থাইল্যান্ড ও ব্যাংককের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। কয়েকদিন আগে ৮ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন বাজার দর ১০ টাকা। 

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, জয়পুরহাট জেলায় এবার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। সারাবছর এই ফসল চাষ হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।