ঢাকা,  মঙ্গলবার  ০৭ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কোচদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিবে বর্ডার হাট

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ৯ এপ্রিল ২০২৩

কোচদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিবে বর্ডার হাট

কোচদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিবে বর্ডার হাট

বর্ডার হাট সীমান্ত বাজার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার সীমান্ত গ্রাম খলচান্দার অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা কোচদের। প্রস্তাবিত ওই বর্ডার হাট স্থাপনের জায়গাটি এর মধ্যে পরিদর্শন করেছেন দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিকে, বর্ডার হাটকে ঘিরে নতুন আশায় বুক বাঁধছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোচ সম্প্রদায়সহ স্থানীয় অধিবাসীরা। 

জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ভারত সীমান্তঘেঁষা খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোচ সম্প্রদায়ের ৫৫টি পরিবারের প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে অনাদিকাল কাল থেকে বসবাস করে আসছে। এদের জীবন-জীবিকার একমাত্র মাধ্যম ছিল বন থেকে লাকড়ী সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা। পাশাপাশি পাহাড়ি ঢালে নিজের সামান্য জমি কিংবা অন্যের কৃষি জমিতে শ্রমিক হিসেবে কৃষি কাজ করা। কিন্তু গারো পাহাড়ে সামাজিক বনায়ন সৃজন করায় বনে আর লাকড়ী পাওয়া যায় না। ফলে কোচদের জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। 

যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বন্যহাতির তান্ডবে ফসলহানিসহ শুরু হয়েছে তাদের কষ্টের জীবন। এরই মাঝে এই গ্রামের ১১১২ (টু এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকায় বর্ডার স্থাপনের বিষয়টি যেন তাদের মনে আশা জাগিয়েছে। এতে খুলতে যাচ্ছে তাদের ভাগ্যের নতুন দ্বার। তারা জানান, এই গ্রামে বর্ডার হাট স্থাপন করা হলে শুধু কোচ উপজাতি নয়,এলাকার সব শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবেন। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তারা ব্যবসা বাণিজ্য করে সংসার বা জীবন চালাতে পারবেন। 

অপরদিকে, খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামে রয়েছে অপরুপ নৈসর্গিস প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত গারো পাহাড়। বর্ডার হাটে বাজার সদাই কারার পাশাপাশি এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবেন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। এছাড়া যাদের পাসর্পোটের মাধ্যমে অধিক ব্যয় করে ভারত গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন তাদের জন্য বর্ডার হাট হবে মিলনমেলা। 

খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্রী হরেন্দ্র কোচ, বকুল কোচ, গৌরাঙ্গ কোচ, মায়াদেবী কোচনী, বারমনি কোচনী ও বিরতি কোচনীসহ অনেকেই জানান, এখানে বর্ডার হাট হলে বাংলাদেশিরাই সব চেয়ে বেশি লাভবান হবেন। কেননা বর্ডার হাটে বিক্রিত ও ক্রয়কৃত উভয় পণ্যেই বাঙ্গালিরা বেশি লাভ করতে পারবে। 

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। এই হাট স্থাপনের লক্ষে আমরা এর মধ্যেই দুই দফায় ভারত ও বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যৌথসভা ও প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উভয় দেশের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন ও নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।