ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সারাদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের মিষ্টি কুমড়া, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ৮ এপ্রিল ২০২৩

সারাদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের মিষ্টি কুমড়া, কৃষকের মুখে হাসি

সারাদেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের মিষ্টি কুমড়া ।

জয়পুরহাটে এবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। বিঘাপ্রতিতে মাত্র ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে খরচ বাদ দিয়েও লাভ থাকছে ২৫ হাজার টাকারও বেশি। এই মিষ্টি কুমড়া সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে কৃষকদের অভিযোগ, গত বছরের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। সারা বছর কম বেশি এর চাষ হলেও আলুর রোপনের পর এর চাষ হয় বেশি। কৃষকরা আলু রোপনের কয়েক দিন পর সেই জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপন করে। তাই জমির কোন চাষ করতে হয়না। আলু তোলার পরপর দুই একবার সার ও সেচ দিলেই ফলন আসতে শুরু করে। যা থেকে আরও দুইমাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। জেলার সব উপজেলায় কম বেশি চাষ হলেও এবার সবচেয়ে বেশি এ ফসলের চাষ হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায়। এই মৌসুম প্রায় শেষের দিকে।

খুচরা বাজারে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে এ ফসল বিক্রি হলেও কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করছেন মাত্র ৯ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে। বিঘাপ্রতি তাদের বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দরে কুমড়া কিনছে। এই কুমড়া রাজধানী, ঢাকা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।

কৃষকদের অভিযোগ, গত বছরের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। যার কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ। একটি কোম্পানীর কাছ থেকে নেওয়া বীজের গাছ ফলন আসার সময় মরতে শুরু করেছিল। এতে ফলন কম হয়েছে। এছাড়া গত বছর ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার তা প্রায় ৫/৬ টাকা কম।

পূর্ব মাতাপুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে প্রথমে আলুর আবাদ করেছিলাম। আলু সাথেই কদুর (মিষ্টি কুমড়া) বীজ রোপন করেছিলাম। আলু তোলার পর পরে কুমড়ার ফলন আসে। এক বিঘাতে ২৮ হাজার টাকা বিক্রি করছি। বিঘাতে ২/৩ হাজার টাকা খরচ হয়।

কৃষক আনোয়ার বলেন, এই ফসলে একবার সেচ ও হালকা কিছু সার দিতে হয়। এতে শ্রমিকসহ সহ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার থাইল্যান্ড ও ব্যাংককের মিষ্টি চাষ করেছি। কয়েকদিন আগে ৮ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন বাজার দর ১০ টাকা।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, জয়পুরহাট জেলায় এবার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। সারাবছর এই ফসল চাষ হয়। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।