ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

হবিগঞ্জ থেকে মাকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে সামি

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৬ জুন ২০২২

হবিগঞ্জ থেকে মাকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে সামি

সামি ও তার মা

হবিগঞ্জ শহরেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন মেহেরুজ্জামান সামি (১৮)। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। সামি তাঁর মা পুতুল বেগমকে (৪০) পদ্মা সেতু দেখাতে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় এসেছেন। পদ্মা সেতুর মাঝখানে মায়ের সঙ্গে সেলফি তোলেন সামি। পরে সেই ছবি মাকে দেখান। ছবি দেখে পুতুল বেগম বেশ খুশি।

আজ রোববার দুপুরে মা-ছেলে পদ্মা সেতুর ওপরে হেঁটে ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন। আর বিভিন্ন দিক থেকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে তাঁরা ছবি তুলছিলেন। 

এ সময় সামি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। মা ইউটিউব ও ফেসবুকে পদ্মা সেতুর বিভিন্ন কার্যক্রমের ভিডিও দেখতেন, নিউজ পড়তেন। তখন থেকেই মা আমাকে বলতেন, একদিন সেতু হবে, সেদিন যেন তাঁকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। গতকাল বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকায় আসতে পারিনি। আজ খুব ভোরে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে সেতু দেখতে এসেছি।’

সামি আরও বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে সাড়ে ৩০০ টাকায় মোটরসাইকেল ভাড়া করে সেতু ঘুরে দেখেন। সম্পূর্ণ সেতু ঘুরে দেখেছেন তাঁরা। এতে তাঁর মায়ের ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। এটা আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে।

মা পুতুল বেগম বলেন, ‘ছেলের কারণে আজ পদ্মা সেতু নিজ চোখে দেখতে পেলাম। আমার ছেলেটা কথা রেখেছে। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছা পূরণ করেছে। সংবাদমাধ্যমে দেখে যতটুকু ভালো লেগেছিল, সেতুতে ঘুরে আজকে বাস্তবে তার আত্মতৃপ্তি নিলাম। এত সুন্দর পরিবেশ আমি কখনো দেখিনি। এসে খুবই ভালো লাগছে। সকালে জার্নির সব কষ্ট মিশে গেছে পদ্মার বুকে আসতে পেরে। ভবিষ্যতে নাতি-নাতনিদের আমাদের মা-ছেলের ছবি দেখাব। পদ্মা সেতুর শুরুর গল্প ও ঘুরে যাওয়ার গল্প শোনাব।’

দেশের টাকায় এত বড় সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সামি ও তাঁর মা পুতুল বেগম।