ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জয়পুরহাটে সেই নাইম হত্যা মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়পুরহাটে সেই নাইম হত্যা মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার

.

জয়পুরহাটের নাইম হোসেন নামে এক তরুণের মাথার খুলি ও হাড়গোড়সহ গলিত মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র‌্যাব)।

জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মামলার আরেক আসামি মরদেহ পাওয়া বাড়ির মালিক সামছুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তারা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েকমাস ধরে তারা পাঁচবিবি উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামে বসবাস করতেন।

জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী বাজার এলাকার সামছুল ইসলামের বাড়ির গোসলখানা নির্মাণের জন্য টয়লেটের পাশে মাটি খনন করার সময় মানুষের হাড়গোড়সহ গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে মরদেহটি নাইম হোসেনের বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাইম হোসেনের মা। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকা থেকে রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঁচবিবি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, মরদেহের প্যান্ট, বেল্ট দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিহতের মা গোলাপী বানু বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পরকীয়ার জেরে নাইম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, ভাড়াটিয়া রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনার সঙ্গে পরকীয়ার কারণে নাইম হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা হয়। আসামিদের আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাইরে বের হয়ে বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ২৫ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মামা ওহেদুল ইসলাম। জিডির পর নিখোঁজ নাইমের সন্ধানে পুলিশ তৎপর থাকলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে সাড়ে চার মাস পর তার মরদেহ পাওয়া যায়।