ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

১০ মাসের শিশুকে হত্যার পর নদীতে ফেলে আসেন মা

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৯ আগস্ট ২০২৩

১০ মাসের শিশুকে হত্যার পর নদীতে ফেলে আসেন মা

.

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নিজের ১০ মাস বয়সী শিশুসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নদীতে ফেলে আসেন মা পপি আক্তার (৩০) নামের এক নারী। আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পপি আক্তার উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের হীরাধর এলাকার জিয়াউল হকের স্ত্রী। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কাঁচামাটিয়া নদী থেকে ওই দম্পতির শিশু সন্তান লাইসা আক্তার ছোঁয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই দিনই শিশুটিকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর রোববার (২৭ আগস্ট) নিজের সন্তানকে হত্যার কথা স্বামীসহ ও পরিবারের সদস্যদের কাছে স্বীকার করে পপি আক্তার। পরে ওইদিন রাতেই জিয়াউল হক বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে আদালতে তোলা হলে পপি আক্তার নিজের শিশুসন্তান ছোঁয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চিফ জুডিসিয়াল আদালতের পরিদর্শক ঝুটন কুমার বর্মণ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাত বছর আগে জিয়াউল হক ও পপি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। বিয়ের ছয় বছর পর তাদের ঘরে শিশু লাইসা জন্ম নেয়। ঘটনার দিন শিশুটিকে ঘুম পাড়িয়ে পপি আক্তার উঠান ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর জিয়াউল হক ঘরে গিয়ে মেয়েকে খাটের ওপর না পেয়ে পরিবারের লোকজনসহ খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

একপর্যায়ে ঘরের পেছনে অন্তত ২৫-৩০ ফুট দূরে কাঁচামাটিয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটি লাইসাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পাশে কাঁচামাটিয়া নদীতে ফেলে আসেন পপি আক্তার। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।