ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে জবুথবু প্রাণীকুল

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে জবুথবু প্রাণীকুল

ঘন কুয়াশা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলার মানুষ। দুই দিন যাবৎ সূর্য়ের মুখ দেখতে না পাওয়ায় জেলার ছিন্নমূল, অসহায় ও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম বেকায়দায়।

রোববার সকাল ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সারাদিনের তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করেছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কনকনে ঠান্ডা আর শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ডাইরিয়া, সর্দি জ্বর হয়ে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। গত কয়েকদিনে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল. গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

 

ঘন কুয়াশা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলার মানুষ।

ঘন কুয়াশা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলার মানুষ।

গতকাল সকাল থেকেই আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক ও হাটবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতিও তেমন নেই। দিনের বেলাতেও সড়কগুলোতে হেডলাইট জালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা গেছে।

গাংনী শহরের কামলার হাটে আসা দিন মজুরী সুফিয়া খাতুন পাঞ্জেরা বেওয়া ও রহিমা খাতুন বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে আমাদের মালিকরা কাজে নিচ্ছে না। দুই দিন গাংনী বাজারে এসে আবারো ফিরে যাচ্ছি। কাজ কাম না থাকলেও পেট তো শুনছেনা। তাই কাজের প্রত্যাশায় শীত ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছি।’

 

ঘন কুয়াশা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলার মানুষ।

ঘন কুয়াশা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে মেহেরপুর জেলার মানুষ।

অটোচালক হামিদুল ইসলাম জানান, শীত আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মানুষজন তেমন বাইরে আসছেন না। তাই আমরা যাত্রীও পাচ্ছিনা। আগে যেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা প্রতিদিন আয় হতো সেখানে দুই দিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় করা দুস্কর হয়ে পড়েছে।

বর্ষপঞ্জি বলছে, র্পৌষ এবং মাঘ এই ২ মাস মিলে শীত কাল। শীতের সমাপ্তি। জানুয়ারি মাসের মধ্য ভাগ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মাঘ মাসের ব্যাপ্তি। সাধারণত ৩০ দিনে মাঘ মাস গণনা করা হয়। মাঘ মাসের শেষভাগে কখনো কখনো বৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রবাদ আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়। আবার এ মাসের আমের মুকুল আসে।’

গাজীপুর কথা