ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ছয় মাসের উপবৃত্তির টাকা একসঙ্গে পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১১ মার্চ ২০২১

ছয় মাসের উপবৃত্তির টাকা একসঙ্গে পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

অর্থসংকট ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হওয়ায় প্রায় এক বছর বন্ধ ছিল প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ‍বিতরণ। অবশেষে আটকে থাকা উপবৃত্তি বিতরণ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ২০২০ সালের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের উপবৃত্তির টাকা ছাড় হয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই এ কিস্তির টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে। ২০২০ সালের বাকি ছয় মাসের উপবৃত্তির টাকাও চলতি মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে উপবৃত্তি প্রকল্প।
 
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী বলেন, নানা জটিলতায় গত বছরের ৯ মাসের উপবৃত্তি বকেয়া হয়ে যায়। এর মধ্যে এপ্রিল, মে জুন মাসের দ্বিতীয় কিস্তির বকেয়া টাকা ছাড় হয়েছে। বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নগদ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেবে। ২০২০ সালের বাকি ছয় মাসের টাকাও বিতরণের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

তিনি বলেন, যাদের এখনও নগদের সার্ভারে তথ্য এন্ট্রি দেওয়া বাকি আছে তাদের সুযোগ দিতে ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নগদের পোর্টাল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
 
প্রাথমিক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উপবৃত্তি ও কিউস অ্যালাউন্সের জন্য ছাড় করা হয়েছে। এ টাকা থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের নিয়মিত ১ কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থীর কিডস অ্যালাউন্স বাবদ প্রায় ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া উপবৃত্তির তিন কিস্তির বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
 
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রতি কিস্তি (তিন মাস অন্তর) উপবৃত্তি বিতরণ করতে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে প্রতি বছরে চার কিস্তিতে প্রয়োজন হয় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে জামা, জুতা কেনার জন্য এককালীন এক হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এতে আরও ১১০০ কোটি টাকা লাগবে।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, কিডস অ্যালাউন্স ও বকেয়া উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেয়েছি। যেকোনো সময় এ টাকা বিরতণ করা হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এ টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিতে চাই। যাতে তারা নতুন উদ্যমে ক্লাসে ফিরতে পারে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিকের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ৫০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেওয়া হতো। এখন তা বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের এক সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের মাসিক উপবৃত্তি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। দুই সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের উপবৃত্তি ৩০০ টাকা, তিন সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের উপবৃত্তি ৪০০ টাকা এবং চার সন্তান বিশিষ্ট পরিবারের উপবৃত্তি ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

গাজীপুর কথা