ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালিয়াকৈরে গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করে কথিত স্বামীর পলায়ন

প্রকাশিত: ২২:১৯, ১৮ আগস্ট ২০২২

কালিয়াকৈরে গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করে কথিত স্বামীর পলায়ন

গলাটিপে হত্যা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সানো হোসেন (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়েছে তার কথিত স্বামী।

বুধবার রাতে উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির বাসা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির গলা ও গালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত সানো হোসেনের স্বামী মো. রফিকুল ইসলামের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে নিহত সানো তার একমাত্র মেয়ে কথা আক্তারকে না জানিয়ে তার কথিত স্বামী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের মোস্তফার বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে মেয়ে কথার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তার দ্বিতীয় বিয়ে বা স্বামীর ব্যাপারে কিছু জানাননি সানো হোসেন। কর্মজীবনে তারা কী কাজ করতো আশপাশের কেউ তা অবগত নয় বলে জানান প্রতিবেশীরা।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী বাসার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম ওই বাসায় গিয়ে দেখে সানো হোসেন চিৎ হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। এ সময় তাকে ডাক দিলে কোনো সাড়া না দেওয়ায় তিনি চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে দেখে সানোর নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। পরে স্থানীয়দের দেওয়া খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে কথা আক্তার ঢাকা উত্তর খান বাসা থেকে কালিয়াকৈর থানায় এসে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহতের মেয়ে কথা আক্তার তার মায়ের কথিত স্বামী মো. রফিকুল ইসলামকে চেনে না । এমনকি কোনো দিন তাকে দেখেওনি বলে জানায়। তাছাড়া তার বাবার মৃত্যুর পর তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এমন কোনো তথ্য তার জানা নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।