ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপাসিয়ায় প্রবাসীর সম্বল নিয়ে গৃহবধূ উধাও

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

কাপাসিয়ায় প্রবাসীর সম্বল নিয়ে গৃহবধূ উধাও

প্রবাসী স্বামীর অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমের টানে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঘর ছেড়েছেন দুই সন্তানের জননী (৩৮)। বিশ বছরের সংসারের ইতি টেনে  ওই নারী বিবাহিত যুবকের  সঙ্গে পালানোর  ঘটনায় গাজীপুর আমলি আদালতে গত ২১ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের লোহাদী নরসিংহপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বজলুর রহমানের  সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের  সংসারে ১৭ ও ৯ বছর বয়সী দুটি মেয়ে  রয়েছে। প্রায় ৯ বছর আগে বজলুর রহমান জীবিকার তাগিদে ইরাক যান। তিনি প্রবাসে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও দুই সন্তান দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যান বড় ভাই মা. সুরুজ মিয়ার কাছে । তার  প্রবাসে অর্জিত অর্থ প্রতিমাসে কৃষি ব্যাংক আমরাইদ বাজার শাখায় স্ত্রীর সঞ্চয়ী হিসাবে পাঠাতেন বজলুর রহমান। তিনি সব মিলিয় স্ত্রীর কাছে ১২ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন।
প্রবাসে যাওয়ার পর বজলুর স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলাতেন দরদরিয়া গ্রামের আমান উল্লাহ’র ছেলে শরীফ (৩৯)। তার ঘরেও স্ত্রী ও দুই সন্তান  রয়েছে।  শরিফ ওই নারীকে প্রায়ই ফোনে বিরক্ত করতা। কথা বলতে বলতে এক পর্যায় শরীফর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যান ওই নারী। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্হানে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেন শরীফ। এমনকি বিভিন্ন কৌশলে ওই নারীর ব্যাংক হিসাব থেকে  বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।  
সর্বশেষ গত ১৩ ডিসম্বর সকাল ১১টার দিকে স্হানীয় আমরাইদ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে  বের হন ওই নারী। ফিরতে দেরি হওয়ায় তার নাম্বারে ফোন দিয় বন্ধ পাওয়া যায়। পর সম্ভাব্য সব স্হানে খোঁজ করে ওই নারীর হদিস না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তার বড় মেয়ে। কয়েকদিন পর জানতে পারেন ওই নারী শরীফের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন। পরে দেখা যায় ঘর ছাড়ার সময় ব্যাংকে জমাকৃত সব অর্থ ও ঘরে গচ্ছিত স্বর্ণালংকার সঙ্গে নিয়েছেন ওই নারী।
এরপর থানা-পুলিশ ঘুরে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত-২ এ শরিফ এবং ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন (সিআর মোকদ্দমা নং- ৬২২/২১) বজলুরের বড় ভাই মো. সুরুজ মিয়া।
মামলার আইনজীবী সেলিম উদ্দিন জানান, সব জেনেও নিজের বউ-বাচ্চা ফেলে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন শরীফ। মামলায় তিনটি ধারায় অবৈধ মেলামেশা, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গাজীপুর সিআইডিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন শরীফ খারাপ মানুষ, তাঁর বিরুদ্ধে  এলাকায় ও বিভিন্ন স্হানে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে শরীফের মোঠোফোনে বার বার কল দিয়েও  তার বক্তব্য তাকে পাওয়া যায়নি।
রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল হাকিম মোল্লা হিরণ জানান অনেক চেষ্টা  করেও মেয়েকে উদ্ধার করতে পরিনি। লম্পট  শরীফের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছি।

গাজীপুর কথা