ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনকারী আলোচিত মিজানকে টঙ্গী থেকে আটক

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনকারী আলোচিত মিজানকে টঙ্গী থেকে আটক

যৌতুকের দাবিতে একাধিক নারী নির্যাতনকারী আলোচিত মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে অবশেষে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করেছে পাগলা থানা পুলিশ। যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানায় তার নামে মামলা হয়। গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার শাকরা পাড়ার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর জামাই বাজারের নিজস্ব বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাগলা থানা পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও জোরপূর্বক টঙ্গীর মেরী স্টোপস ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মিজানের বর্তমান স্ত্রী খালেদা আক্তার পাগলা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ওই গৃহবধূর শাশুড়ি মনোয়ারা ও ননদ (স্বামীর বোন) মাহফুজা আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ খালেদা আক্তারের বাবা হাবিবুল ইসলাম জানান, যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ খালেদাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। একইভাবে আগের স্ত্রীকেও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যৌতুকের দাবি মিটাতে না পারায় গত বছর খালেদাকে টঙ্গী বাটা গেট সংলগ্ন মেরী স্টোপস ক্লিনিকে নিয়ে জোরপূর্বক তিন মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। গর্ভপাতের এ ঘটনায় খালেদা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উপযুক্ত চিকিৎসা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু এর পরও মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে হাবিবুল বহু কষ্টে একাধিকবার যৌতুকের দাবি মিটিয়েছেন। হাবিবুল অভিযোগ করে আরো জানান, প্রথমবার তিন মাসের সন্তান নষ্ট করার পর দ্বিতীয়বার সন্তানসম্ভবা হলে আবারো তার মেয়ে খালেদাকে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চাপ দেয়া হয়। গর্ভপাতে খালেদা রাজি না হওয়ায় গত ঈদুল আজহার দু’দিন আগে মারধর করে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয় এবং ঘরে তালা দিয়ে সবাই টঙ্গীর বাড়িতে চলে যায়। এর পর থেকে তারা খালেদার ভরণপোষণসহ কোনো ধরনের খোঁজ খবর নিচ্ছে না। তার মেয়ে ভিকটিম খালেদা বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ব্যাপারে সামাজিকভাবে একাধিকবার দরবার হলেও গ্রামের মাতব্বরদের সিদ্ধান্তকেও কোনো তোয়াক্কা করছে না যৌতুকলোভী পরিবারটি। বরং মেয়ের শাশুড়ি সালিসি বৈঠকে মাতব্বরদের সাথেও অশোভন আচরণ করেছেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বলে জানান হাবিবুল।

গাজীপুর কথা