ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মাল্টার গুণের শেষ নেই

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাল্টার গুণের শেষ নেই

ছবি: সংগৃহীত

ভিটামিন-সি মানব শরীরের জন্য একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকেরা বলেন, একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম ও পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি গ্রহণ করা উচিত। আর ভিটামিন-সি এর জোগানে বিশেষ ভূমিকা রাখে আমাদের দেশের জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল মাল্টা। 

মাল্টা (Orange বা Sweet orange) অনেক জনপ্রিয় একটি ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Taeniopygia guttata। এটি Sapindales পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে এর কিছু চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি বেশ জনপ্রিয় ফল। এর আদি উৎপত্তিস্থল ভিয়েতনাম, দক্ষিণ চীন এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত।

রোগীর পথ্য হিসেবে মাল্টা হিতকর। খেতে সুস্বাদু। দারুণ গন্ধ। মাল্টায় পুষ্টিতে ভরপুর। মাল্টা ঔষধ হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পুষ্টিগুণ

মাল্টায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কারণ ১০০ গ্রাম মাল্টায় রয়েছে ২০০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি আছে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম। অন্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিগ্রাম, ১ মিলিগ্রাম, ০.২ মিলিগ্রাম, ৪০ মিলিগ্রাম, ০.৮ মিলিগ্রাম, ০.১১৩ মিলিগ্রাম, ০.০৪৬ মিলিগ্রাম এবং ২০০ কিলোক্যালরি। এতে কিছু ঔষধিগুণও আছে।

উপকারিতা

১। মাল্টা নিয়মিত খেলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকে এবং ত্বকের বলি রেখা প্রতিরোধ করে লাবণ্য ধরে রাখে।
২। মাল্টা ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহ জনিত রোগ সারিয়ে তোলে।
৩। মাল্টা নিয়মিত খেলে শরীরের কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম সেল প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
৪। নিয়মিত মাল্টা খেলে পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো থাকে।
৫। মাল্টায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।
৬। নিয়মিত মাল্টা খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। প্রতিদিন একটি করে মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস আপনার দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 
৭। পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে মাল্টা। তাই নিয়মিত মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা দেয়। মাল্টা ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহ জনিত রোগ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে৷ এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিও-ভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে।