ঢাকা,  সোমবার  ২০ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আমস্টারডামে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ৯ মে ২০২৪

আমস্টারডামে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে নিতে গেলে ডাচ দাঙ্গা পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার থেকে সেখানে এই উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

পুলিশ মধ্যরাতে (২২০০ জিএমটি) বলেছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ডাচ রাজধানীর কেন্দ্রে একটি প্রধান সড়কে ‘সহিংসতার’ জন্য ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

স্থানীয় টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গেছে, অফিসাররা আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রে বিন্নেনগাস্তুইস ভবনের সামনের একটি এলাকা থেকে ব্যারিকেট সরিয়ে নেয়ার সময় দাঙ্গার পোশাক পরা কয়েক ডজন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের একটি দলের সাথে হাতাহাতি করছে।

পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা রোকিন নামক স্থানীয় একটি প্রধান রাস্তা অবরোধ করায় সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীরা বলেছে,তারা আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়কে (ইউভিএ) গাজা যুদ্ধের জন্য ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছে এবং তারা মার্কিন ক্যাম্পাসে চলমান বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়েছে।

মধ্যরাতের একটু আগে আমস্টারডাম পুলিশ এক্স-এ বলেছে, পরিস্থিতি ‘শান্ত’ এবং বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী এলাকা ছেড়ে গেছে।

তারা আগে বলেছিল, আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি বিঘ্নিত করা এবং সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগ আনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে মেয়রের অনুমোদন পেয়েছে।

স্থানীয় এপি৫ চ্যানেলের ছবিতে দেখা গেছে, পুলিশ বেশ অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করছে, যাদের সংখ্যা কয়েক শ’ ছিল।

চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, ব্যারিকেডগুলোকে একটি লোডার ট্রাক ঠেলে একটি খালে ফেলে দেয়ার সময় পুলিশ ক্যাম্পাসে থাকা বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট এবং সোচ্চার দলকে ঘিরে রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা ‘মুক্ত ফিলিস্তিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নেড়েছিল এবং পুলিশকে ‘শ্যাম অন ইউ’ বলে চিৎকার করে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কমপক্ষে ১৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমস্টারডাম সিটি কাউন্সিলে শুক্রবার চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে একটি জরুরি বিতর্কের কথা রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উট্রেচ্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসসহ নেদারল্যান্ডসের অন্যত্র বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছে।