১২২ বছরেও মুক্তি মেলেনি যাবজ্জীবন পাওয়া সেই গাছটির
প্রকৃতিতে মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু বলা হয় গাছকে । এটি একদিকে যেমন নিসর্গের শোভা বৃদ্ধি করে, অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আর সেই গাছই কি-না জেল খাটছে ১২২ বছর ধরে!
ঘটনার শুরু তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জেমস স্কুইডের মাধ্যমে। তিনিই গাছটিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আজও পাকিস্তানের ল্যান্ডি কোটাল সেনানিবাসে শিকল পরিয়ে বন্দি রাখা হয়েছে মহীরুহটিকে।
গাছটির অপরাধ : একদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরছিলেন জেমস স্কুইড। পথের মধ্যে হটাৎ তিনি দাঁড়িয়ে যান; দেখেন গাছটি তার দিকে এগিয়ে আসছে। বারবার গাছটিকে এগিয়ে আসতে নিষেধ করলেও নির্দেশ অমান্য করে সেটি এগিয়ে যায় তার কাছে। তার এ গল্প শুনে কেউ বিশ্বাস করেনি, কারণ পুরোটাই ছিল নেশার ঘোর। তারপরও শেকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় গাছটিকে।
সেই সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও কড়া হুমকি দেয়া হয়, কেউ এই গাছকে মুক্ত করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। কালের সাক্ষী হয়ে ল্যান্ডি কোটাল সেনানিবাসে বন্দি অবস্থায় থাকা গাছটি এখনও তাই মুক্তির দিন গুনছে। তার গায়ে লেখা, ‘আই অ্যাম আন্ডার অ্যারেস্ট’।