ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাড়ো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ২৪ জুন ২০২৩

গাড়ো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম

গাড়ো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে এবার পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ মূল্যের কাজু বাদামের চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব বাগানের কাজু বাদাম পরিপক্ক হতে শুরু করেছ। ফলে সীমান্তের পাহাড়ি আদিবাসী-বাঙালিদের মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে। 

অবহেলিত ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে যেতে পারে এ উচ্চ মূল্যের কাজু বাদাম চাষে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকা হাতির আক্রমণের ভয়ে এবং কিছু এলাকায় পানির অভাবে পতিত থাকে। সেখানে কাজু বাদাম চাষ হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক আগে থেকে কাজু বাদামের চাষ হয়ে আসছে। তবে শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় গত প্রায় ৩ বছর আগে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ‘কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’র আওতায় সাড়ে ১৮ একর জমিতে মোট ৩৬টি প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে কাজু বাদাম চাষ শুরু করা হয়। প্রায় ৩ বছরের মাথায় বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী বাগানে বাদাম পাকতে শুরু করেছে। বাগানে এখন থোকা থোকা ঝুলছে কাজু বাদাম। 

এ কাজু বাদাম গাছ থেকে ৫০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে। আর প্রতিকেজি বাদাম বিক্রি করা যায় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। তবে প্রসেসিং ছাড়াগুলো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়। এ বাদাম পাকার পর উপরের অংশ আপেলের মতো খাওয়া যায় এবং নিচের অংশ থেকে নির্ধারিত যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় বাদাম বের করা হয়ে থাকে।

গজনি এলাকার বাগান মালিক সোয়েব হাসান সাকিল বলেন, ‘আমার বাগানে গত বছর থেকে ফুল আসতে শুরু করে এবং এবার ফল হয়ে পাকতে শুরু করছে। আমার ৫০ শতক জমিতে ২০০ গাছ রয়েছে। তিন বছরে আমার সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে ফলন আরও বাড়বে এবং প্রতি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি করে বাদাম পাওয়া যাবে। এতে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বাদাম বিক্রি করা যাবে।’ 

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, উচ্চ মূল্যের এ কাজু বাদাম দেশের নতুন অর্থকরী ফসল। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কাজু বাদামের উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দেশে এ ফসলের অনেক ঘাড়তি রয়েছে। প্রতি বছর এই আদাম আমদানি করতে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়। এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধি করতে নতুন এ ফসলকে শেরপুরের গারো পাহাড়সহ পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।