ঢাকা,  রোববার  ১৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৪ জুন ২০২৩

কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বৃদ্ধি

কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বৃদ্ধি

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে বেড়েছে পানির পরিমাণ। এতে দেশের একমাত্র কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি মাত্র ইউনিট চালু থাকলেও হ্রদে পানি বাড়ায় এখন দুইটি ইউনিট চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। 

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শনিবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত রুলকার্ভ অনুয়ায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৮২ দশমিক ১১ এমএসএল। কিন্তু বর্তমানে হ্রদে পানির পরিমাণ রয়েছে ৭৫ দশমিক ৩২ এমএসএল।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি মাত্র ইউনিট দিয়ে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে ৩০-৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দুটি ইউনিট চালুর মাধ্যমে মোট ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত নিয়মিত হলে বাকি ইউনিটগুলো চালুর মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। 

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি উপর নির্ভরশীল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।  এক মাস আগে পানি সংকটে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। ফলে কেন্দ্রটির ১ নম্বর ইউনিট থেকে দৈনিক ২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।  তবে গত সপ্তাহের কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদে পানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। যার কারণে বর্তমানে ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ইউনিট দিয়ে দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এইভাবে যদি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে এবং হ্রদের পানি বাড়ে তবে আরো ইউনিট চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। 

প্রসঙ্গত, দেশের সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটিতে ৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ২৪০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।