ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, খাদ্যের অভাব ও দুর্ভিক্ষ হবে না

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২০ জুন ২০২৩

গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, খাদ্যের অভাব ও দুর্ভিক্ষ হবে না

ফাইল ছবি

নিশ্চিন্ত থাকেন, বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব ও দুর্ভিক্ষ হবে না। এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আপনাদেরকে একটি ছোট ডাটা দেই, বিএনপির আমলে গম এবং চাল আমরা স্টক করতে দেখেছি ৪, ৫, ৬ লাখ মেট্রিক টন সর্বশেষ ৮ লাখ সামথিং। আমাদের আমলে কোনো সময় ১৬ বা ১৮ লাখের নিচে থাকে না। আমাদের রাখার ক্যাপাসিটি আছে ২১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু গতকালকেই আমাদের স্টক হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে দেশের মাটিতে বীজ দিলেই ফসল হয়, সেখানে দুর্ভিক্ষের প্রশ্নই আসে না।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চলমান বোরো সংগ্রহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে জেলার খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, গম ও চাল আরও স্টক বেশি রাখার জন্য সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টনের সাইলো বানাচ্ছি আমরা। কাজ অনেকদূর এগিয়ে। আশা করছি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এর মাঝে সাইলোগুলোর কাজ শেষ করে উদ্বোধন করতে পারব। আমরা কৃষকের সুবিধার জন্য এবং হাওরকে নিয়েও চিন্তা করছি, পাঁচ হাজার মেট্রিক টন করে ধানের সাইলো করার পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যে প্রজেক্টও পাস হয়েছে। কনসালটেন্ট নিয়োগ হয়েছে, ডিজাইন হচ্ছে। ভেজা ধান কৃষক ধানের সাইলোতে নিয়ে যাবে। এক একটা সাইলোতে ডাইয়ার থাকবে চারটা করে। একেকটি ডাইয়ারে ঘণ্টায় ৩০ মেট্রিক টন করে ধান ঝাড়াই, বাছাই ও শুকিয়ে বিনে ঢুকে যাবে। সেখান থেকে স্লিপ নিয়ে ব্যাংকে চলে যাবে ও টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে যাবে কৃষক। ২০০টি সাইলো করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পাইলট স্কিম হিসেবে ৩০টি করার অনুবেদন দিয়েছেন। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা। এছাড়া গম ৩৫ টাকা করে কেনা হবে। চার লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছাড়াও খাদ্য কর্মকর্তাদেরকে দেশপ্রেমিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, ঢাকার অঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি. এম. ফারুক হোসেন পাটিয়ারী, কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার প্রমুখ।

মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূইয়া।