ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নড়াইলে হাজারো কণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ ও জাতীয় সংগীত

প্রকাশিত: ১৮:০৯, ৭ মার্চ ২০২৩

নড়াইলে হাজারো কণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ ও জাতীয় সংগীত

নড়াইলে হাজারো কণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ ও জাতীয় সংগীত

নড়াইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে হাজারো কণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সুলতান মঞ্চে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নড়াইল।

এ সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মনোরম হিউম্যান চেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় ফুল শাপলা ফুটিয়ে তুলে। মাঠের একপ্রান্তে ৬০/৪০ ফুট বিশিষ্ট বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিভিন্ন সময়ের ছবি মাঠের চারপাশে শোভা পাচ্ছিল।

পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

বক্তারা বলেন, নড়াইল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের চেতনা সম্বলিত একটি জেলা। এখানের ব্যতিক্রমী আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনকের অবদানের সঠিক ইতিহাস জানতে আগ্রহী করে তুলবে।

জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু বলেন, নড়াইল শিল্প-সংস্কৃতির একটি জেলা। চতুর্থবারের মতো এমন আয়োজন করতে পেরে জেলার ক্ষুদ্র একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে আনন্দ বোধ করছি। আমাদের বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনবোধ ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এ ধরনের আয়োজন অতীতে করেছি, ভবিষ্যতেও করবো।

অনুষ্ঠানে জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামুদ্দিন খান নিলু, সদর পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম, সাধারণ সম্পাদক নীলসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে নড়াইলে প্রতিবছর ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।