ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ভাগনি জামাই গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১৬:২০, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ভাগনি জামাই গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নরসিংদীর মাধবদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ইতোমধ্যে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জহিরুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের মেয়ের স্বামী। তার বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।

নিহতরা হলেন- বাঞ্ছারামপুরের আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (৭)।

আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি জেকির বড় বোন শিল্পীর মেয়ে আনিকা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় জহিরুল ইসলামের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা শুরু হয়। সেজন্য বেশিরভাগই সময়ই আনিকা শ্বশুরবাড়িতে না থেকে মায়ের কাছে থাকতেন। সেজন্য জহিরুল ওই বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করতে। সোমবার সকালে আনিকার খালা জেকির বাড়িতে আসেন এবং নাস্তা করে চলে যান জহিরুল। আবার তিনি রাত ৮টার দিকে আসেন। তবে আসার বিষয়টি যেন তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে না জানান সেটি বলে চলে যান। কিন্তু জেকি বিষয়টি তার বোন শিল্পী ও ভাগিনা আনিকাকে জানিয়ে দিলে ক্ষোভে জহিরুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। তিনি পালিয়ে মাধবদী চলে যান। সেখান থেকে পুলিশ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জেনেছি।  

মামলার বাদী ও নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে ও নাতিদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জহিরুল। আমি এর সুনির্দিষ্ট বিচার চাই। 

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর-ছয়ানি দক্ষিণপাড়ায় গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী জেকি আক্তার ও দুই ছেলে মাহিন এবং মহিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।