ঢাকা,  রোববার  ১৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন নিয়ে ভাস্কর্য

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে দেশে প্রথম ভার্টিক্যাল পাইপ দিয়ে দ্বিমাত্রিক ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। ভাস্কর্র্যের প্রতিটি পাইপ বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের প্রতীক

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন নিয়ে ভাস্কর্য

ফাইল ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুুউচ্চ প্রতিকৃতি। এটির প্রস্থ ১৭ ও উচ্চতা ৩৩ ফুট। অবয়বটি তৈরি করা হয়েছে ৫৭টি ধাতব পাইপ দিয়ে। এর মধ্যে ১৩টি পাইপ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে ১৩ বছর জেল খাটার বিষয়কে নির্দেশনা করে এবং ৪৭টি পাইপ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর শরীরকে উপজীব্য করা হয়। নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধুর কারাবন্দী জীবনের সংগ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮ অক্টোবর এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার ২৭ বছর কারাভোগকে উপজীব্য করে ভাটিক্যাল পাইপ দিয়ে নির্মিত একটি ভাস্কর্য আছে। তাঁর ভাস্কর্যটিও করা হয়েছে এমন পাইপ দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়েও দেশে প্রথম ভার্টিক্যাল পাইপ দিয়ে দ্বিমাত্রিক ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। ভাস্কর্র্যের প্রতিটি পাইপ বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের প্রতীক। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের গোলচত্বরে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করে। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৮৪ লাখ টাকা। তাছাড়া গোলচত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে গ্রামবাংলার স্মারক নৌকা। এক ধরনের বিশেষায়িত ফাইবার দিয়ে নির্র্মিত নৌকাটির দৈর্র্ঘ্য ২৪ ফুট। গোলচত্বরের মাঝখানে স্থাপিত ভাস্কর্র্যটির ব্যাস ৩২ ফুট। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম, বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের গোলচত্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
বিমানবন্দরে অবতরণকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীরা যাতে প্রথমেই দেশের স্বাধীনতার প্রতীক বঙ্গবন্ধু সম্পর্র্কে জানেন, তাই এ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সাম্পান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে এটাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য গোলচত্বরে পানির ঝরনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাত্রে স্থাপনাটি দৃষ্টিনন্দন করতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেন। এর মধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে সাত দিন এবং পাকিস্তান সরকারের আমলে ৪ হাজার ৬৭৫ দিন। কারাবাসকে প্রোজ্জ্বল রাখতে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়।