ঢাকা,  রোববার  ১৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ৫ অক্টোবর ২০২৩

৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুই আসামি মো. জীবন (৩১) ও ইমন হাসানকে (৩২) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার এক মামলায় আদালত দুই আসামি মো. জীবন ও ইমন হাসানকে পৃথক দুই ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত।

মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারাতেও দুজনকে একই দণ্ড দেন বিচারক। তবে আদালত আদেশে বলেছেন, উভয় ধারায় শান্তি দেওয়া হলেও উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ জুন নগরের পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মো. সোলায়মানের ৯ বছর বয়সী মাদরাসায় পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনার পর দিন রাতে বাদুরতলা এলাকার নঈমী ভবনের তৃতীয় তলায় সিঁড়িঘরের পাশে ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সের মধ্য থেকে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে ভিকটিমের পরিবার। ঘটনার ৯ দিন পর ২২ জুন দুই আসামি জীবন এবং ২৩ জুন ইমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের তারা আদালতে জবানবন্দি দেয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়।

মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৮ বছরের ২৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলায় আদালত রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।