ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ, ১০৫ দিন পর হঠাৎ থানায় সেই রিকশাচালক!

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ১ অক্টোবর ২০২৩

পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ, ১০৫ দিন পর হঠাৎ থানায় সেই রিকশাচালক!

থানায় এসে রিকশাটি নিজের দাবি করেন শরিফুল। ছবি : সংগৃহীত

পদ্মা সেতুতে উঠে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক শরিফুল। রিকশাটি ছিল সেতুর ওপরই। চলতি বছরের ১৮ জুন দিবাগত রাতের ঘটনা এটি। কেউ কেউ এটিকে আত্মহত্যা বলছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছিল, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা সেতুতে উঠে পড়ায় প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাফ দেন তিনি। কয়েক দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান চললেও সে সময় তার সন্ধান মেলেনি। 
তিন মাস ১৩ দিন পর রবিবার (০১ অক্টোবর) তিনি নিজেই পদ্মা সেতু উত্তর থানায় উপস্থিত হন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন।

ওসি জানান, হঠাৎ আজ সকালে থানায় এসে শরিফ নিজেকে পদ্মায় ঝাঁপ দেওয়া সেই ব্যক্তি দাবি করেন। এ সময় তিনি অটোরিকশাটি নিতে এসেছেন বলে জানান। নদীতে ঝাঁপ দিলেও তিনি বেঁচে যান। সাঁতার কেটে তিনি তীরে উঠে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন।

ওসি বলেন, ‘আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখছি এবং ঘটনার বিবরণ নিচ্ছি। দাবীকৃত অটোরিকশাটি শরিফুলের হলে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

পুলিশ জানায়, রিকশাচালক শরিফ বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাটের উদয়পুর অরুণকান্দি গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে।

১৮ জুন দিবাগত রাত ২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত হয়ে উল্টোপথে রিকশা নিয়ে সেতুতে উঠে পড়েন চালক শরিফ। বিষয়টি টের পেয়ে সেতুর নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ধাওয়া করেন।

পরে সেতুর ২১ নম্বর পিলারের কাছ এসে অটোরিকশা ফেলে পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
রিকশাচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঢাকার হাজারীবাগে দুই-তিন বছর অটোরিকশা চালিয়েছি। পরে সিদ্ধান্ত নিই আমার গ্রামের বাড়ি গিয়ে অটোরিকশা চালাব। ওই দিন গভীর রাতে পদ্মা সেতু দিয়ে সুন্নতি তরিকায় রিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক আমাকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ট্রাকের সঙ্গে আমার রিকশাটির ধাক্কা লাগলে আমি পড়ে যাই। পরে ওই লোকগুলো কাছাকাছি এলে আমি ভয়ে পদ্মায় লাফ দিই। পরে রাতভর সাঁতার কেটে একটা চরে উঠি। তারপর কিছুদিন অসুস্থ হয়ে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।’