ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

লালপুরে আগুনে পুড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৭:১২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালপুরে আগুনে পুড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু

লালপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের কাছে এলাকাবাসীর ভিড়।

নাটোরের লালপুরে আগুনে পুড়ে শাহানাজ বেগম (৪০) নামে এক নারী ও তাঁর ৮ বছরের মেয়ে মাইশা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লালপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শাহানাজ বেগম নওপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে। আহতরা হলেন শাহানাজ বেগমের মা ইয়াতুল বেগম (৭০) ও প্রতিবেশী শহিদুল্লাহর ছেলে সজল (২২)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, শাহানাজ বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর মা ও মেয়েকে নিয়ে টিনশেডের একটি ঘরে থাকতেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে অসাবধানতাবশত কুপিবাতি থেকে ঘরের পাটকাঠির বেড়ায় আগুন ধরে যায়। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস শাহানাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তাঁর মেয়ে ও মাকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক অগ্নিদগ্ধ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু মাইশা মারা যায়। এদিকে আগুন নেভাতে ও অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করতে গিয়ে সজল নামের এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুরুজ্জামান শামীম বলেন, নারী ও শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। আরেক জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

লালপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় একজন দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে আরেক শিশু মারা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে কুপি বাতি থেকে ঘরের পাটকাঠির বেড়ায় আগুন ধরে যাওয়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মা ও মেয়ের লাশ পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।