ঢাকা,  রোববার  ১৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপ্তাই হ্রদে চার দিনে ধরা পড়েছে ৩৪৫ মেট্রিক টন মাছ

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কাপ্তাই হ্রদে চার দিনে ধরা পড়েছে ৩৪৫ মেট্রিক টন মাছ

বেশি ধরা পড়ছে কাচকি ও চাপিলা মাছ

দীর্ঘ ১৩২ দিন বন্ধ থাকার পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরুর চার দিনে ধরা পড়েছে ৩৪৫ মেট্রিক টন মাছ। এ মাছ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭০ লাখ টাকার বেশি। হ্রদে এ বছর কার্পজাতীয় মাছ ধরা পড়ছে কম। বেশি ধরা পড়ছে কাচকি ও চাপিলা মাছ।

মাছের প্রজনন বাড়াতে গত ২০ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। তবে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা দুই দফা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর শুক্রবার থেকে শুরু হয় হ্রদে মাছ শিকার। প্রথম দিনে ১২৪, দ্বিতীয় দিনে ৩৫, তৃতীয় দিন ৫৫, চতুর্থ দিন ৭৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭০ লাখ টাকার বেশি। গত বছর প্রথম চার দিনে ৪৯৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়েছিল। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৯০ লাখ টাকা। 

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ও বিপণন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১০৯ কোটি ৪২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। যার মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ কোটি ১৩ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আসে।

রাঙামাটির কর্ণফুলি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার কাপ্তাই হ্রদে ১০৬.০৮ এমএসএল পানি রয়েছে। যা থেকে ২০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।

রাঙামাটিতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া জানান, দীর্ঘ বন্ধের ফলে এবং হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় গত বছরের চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কার্পজাতীয় মাছ আহরণ কম হলেও কাচকি ও চাপিলা ধরা পড়ছে বেশি। হ্রদের পানি কমে আসলে কার্পজাতীয় মাছ পাওয়া যাবে।