ঢাকা,  সোমবার  ২৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের যোগান দিচ্ছে জামালপুরের গ্রিন সরিষাবাড়ি সোলার প্ল্যান্ট

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের যোগান দিচ্ছে জামালপুরের গ্রিন সরিষাবাড়ি সোলার প্ল্যান্ট

গ্রিন সরিষাবাড়ি সোলার প্ল্যান্ট। এ প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যোগান দিচ্ছে।

জাতীয় গ্রিডে যোগান দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জামালপুরের গ্রিন সরিষাবাড়ি সোলার প্ল্যান্ট। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে প্রতিদিন গড়ে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রির মাধ্যমে জেলার লোডশেডিং সমস্যার অনেকটাই সমাধান করছে এই সোলার প্ল্যান্ট।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, পরিবেশবান্ধব এমন সোলার প্ল্যান্ট বাড়ানোর মাধ্যমে জ্বালানি তেলের সাশ্রয় করে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটাই মেটানো সম্ভব।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরিষাবাড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর মোর্শেদ সময় সংবাদকে জানান, গ্রিন সরিষাবাড়ি সোলার প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ পুরোটাই কিনে নিচ্ছেন তারা। এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব সোলার প্ল্যান্টের মাধ্যমে সারাদেশে বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। জামালপুরের বেসরকারি প্রকল্প গ্রিন সরিষাবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ারুল কবীর জানান, ৮ একর জমিতে ১২ হাজার পাওয়ার ভোল্টেজ মডিউলের মাধ্যমে সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় প্রতি মাসে সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় এক কোটি টাকার জ্বালানি। মাত্র ২০ জন জনবল দিয়ে পরিচালিত এই সোলার প্ল্যান্টটির উৎপাদন ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের। তবে, সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্টকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে অনাবাদি জমি পাওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন গ্রিন সরিষাবাড়ি সোলার প্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ারুল কবির।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরিষাবাড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘এ ধরনের পরিবেশবান্ধব প্ল্যান্ট বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি জ্বালানি তেল ব্যবহার না করায় কমবে উৎপাদন খরচও। সারাদেশ থেকে সোলার প্ল্যান্টের মাধ্যমে উৎপাদিত প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। আগামীতে এই উৎপাদন আরও বাড়বে।’