ঢাকা,  রোববার  ১৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শঙ্কা কাটিয়েছে কাপ্তাই হ্রদ, সতেজ পর্যটকরা

প্রকাশিত: ১৩:০১, ২৬ আগস্ট ২০২৩

শঙ্কা কাটিয়েছে কাপ্তাই হ্রদ, সতেজ পর্যটকরা

কাপ্তাই হ্রদে পর্যটকদের কোলাহল বাড়তে শুরু করছে।

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা রূপ। বর্ষার শেষ বর্ষণের পানিতে টইটুম্বুর এখন কাপ্তাই প্রান্তর। আসতে শুরু করেছে পর্যটক। কোলাহলে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা।

কিছুদিন আগেও এই হ্রদ নিয়ে ছিল শঙ্কা। পর্যটকখরায় প্রাণহীন ছিল এই জায়গাটি।

ঘাটে অসল পড়ে থাকা বোটগুলো এখন ছুটে চলছে বিভিন্ন পাহাড়ি ঝরনায়। বহমান ঝরনার নতুন জলে নিজেদের সতেজ করছে পর্যটকরা। যেন ধুয়ে ফেলছেন যান্ত্রিক জীবনের সব ক্লান্তি।

শুধু তা-ই নয়, হ্রদের নতুন জলে ডানা মেলতে শুরু করেছে হাউস বোটগুলো। সেখানেও বেড়েছে পর্যটকের পদচারণা। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।

নোয়াখালী থেকে আসা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রাঙামাটিতে এবারই প্রথম এলাম। এখানকার পাহাড়, হ্রদ, ঝরনা দেখে আমি রাঙামাটির প্রেমে পড়ে গেছি। বাংলাদেশে এমন সুন্দর জায়গা আছে সেটা জানা ছিল না। এই অনুভূতি সারা জীবন মনে থাকবে।’

রাকিবুর হোসেন বলেন, ‘জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রাঙামাটি এসেছিলাম। তখন পানিশূন্য হ্রদের করুণ অবস্থা দেখে চরম হতাশ হয়েছিলাম। চারদিকে শুধু চর আর চর। এবার এসে দেখছি এক ভিন্ন রূপ। পানিতে ভরে গেছে পুরো হ্রদ।’

পর্যটকদের এমন আনাগোনায় রাঙামাটি টুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহসভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমরা হ্রদের পানি নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। কারণ, হ্রদে পানি না থাকলে পর্যটকরা হ্রদে বেড়াতে চান না। তবে এখন হ্রদ পানিতে ভরপুর। যারা বেড়াতে আসছেন তারা হ্রদ ভ্রমণ করছেন। আমাদের আয় বেড়েছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো ব্যবসা হবে।’

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক আলক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এবার কিছুটা দেরিতে হলেও কাপ্তাই হ্রদ তার আসল রূপ ফিরে পেয়েছে। তাই পর্যটকও আসতে শুরু করেছে। আমাদের আবাসিক হোটেলের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। মূল মৌসুম শুরুর আগে রেসপন্স খুবই ভালো। আশা করছি এই মৌসুমে ভালো ব্যবসা হবে।’

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাঙামাটি চেম্বার ও কমার্সের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রতিবছর পাঁচ লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন।