ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে ভূমিহীনদের দৃষ্টিনন্দন স্বপ্নের বাড়ি

প্রকাশিত: ১২:২০, ২২ আগস্ট ২০২৩

আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে ভূমিহীনদের দৃষ্টিনন্দন স্বপ্নের বাড়ি

সংগৃহিত ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে দুস্থ-অসহায় মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা। যথাযথ মান বজায় রেখে জলবায়ুর ঝূঁকি এড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে টেকসই করে নির্মাণ করা হয়েছে এসব দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। সরকারের ২.৬২ একর খাস জমির ওপর নির্মিত এসব প্রতিটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা।

সুপেয় পানির জন্য বসানো হয়েছে ৮টি গভীর নলকূপ। বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে ঘরগুলোতে আলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষের জন্য মুজিব শতবর্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব স্বপ্নের বাড়িতে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে সুবিধাভোগী মানুষ বসবাস শুরু করতে যাচ্ছে।

দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসব বাড়ি নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের অভ্যন্তরীন চলাচলে এখন দ্রুত গতিতে চলছে ৩৫০ ফিট ইটের সলিং সড়ক নির্মাণের কাজ।

সূত্রটি আরও জানায়, সুবিধাভোগী পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষের কাজের সুবিধার্থে পায়রাবন্দর, তাপবিদ্যুত কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এসব বাড়ি। এরা প্রতি সকালে আন্ধারমানিক নদীর ওপর নির্মিত শহীদ নজরুল ইসলাম সেতু পায়ে হেঁটে পেরিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দিতে পারবে। শিশুদের পড়াশুনার জন্য যেতে নিকটেই রয়েছে ইটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিত্যপণ্য ক্রয়ে কাছেই রয়েছে বালিয়তলী স্টেশন বাজার। প্রকৃতির জলাধার থেকে মাছ আহরণে বাড়ির পাশেই রয়েছে আন্ধারমানিক ও রামনাবাদ নদী।

এসব অসহায়পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করতে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বাড়িগুলোর চারপাশ ছায়াঘেরা পরিবেশ সৃষ্টিতে উপকূলীয় বন বিভাগ বৃক্ষ রোপনের উদ্দ্যোগ নিয়েছে।

কলাপাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তর উপহারের এ সকল বাড়ি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৪৫০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১০, তৃতীয় পর্যায়ে ২০৩ এবং চতুর্থ পর্যায়ে ২০০ ঘর সর্বমোট ৯৬৩ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি সহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য কলাপাড়া উপজেলায় ৯৬৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যথেষ্ট জায়গা নিয়ে ডিজাইন অনুযায়ী মান বজায় রেখে আন্ধারমানিক নদী পাড়ে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ যেকোন ঝড় তুফান মোকাবিলা করে ঘরগুলো বহু বছর টিকে থাকবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান বলেন, দেশের একজন মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে এ জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। আশ্রয়ন-২ প্রকল্প দেশের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দিনেও শেখ হাসিনা ও নৌকার বিকল্প নাই।