ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জেনে নিন জিপসাম সম্পর্কে

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ১৮ মার্চ ২০২০

জেনে নিন জিপসাম সম্পর্কে

জিপসাম সাদা বা ধূসর বর্ণের পাউডারের মতো এক ধরনের রাসায়নিক সার। এ সারে ১৭ শতাংশ সালফার বা গন্ধক এবং ২৩ শতাংশ ক্যালসিয়াম থাকে। এটি কোমল প্রকৃতির এবং আলোতে কিছুটা চিক চিক করে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় এ সার বেশিদিন বস্তায় সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। এতে উপস্থিত থাকা গন্ধক আমিষ উৎপাদনে সাহায্য করে।

সাধারণত মাটিতে গন্ধকের অভাব দেখা দিলে জিপসাম সার ব্যবহার করা হয়। গন্ধকের অভাব হলে গাছের সবুজ বর্ণ বিনষ্ট হয়, কাণ্ড সবুজ ও চিকন হয়। পাতা ফ্যাকাশে সবুজ বা হলুদ আকার ধারণ করে। এ ছাড়া গাছে শর্করা ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

জিপসাম সার প্রয়োগে মাটিতে গন্ধকের ঘাটতি পূরণ হয়। গাছের সবুজ বর্ণ ফিরে আসে, কাণ্ড মোটা ও কাঠবর্ণ ধারণ করে, পাতা চকচকে সবুজ হয় এবং শর্করা ও নাইট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখে। এ ছাড়া জিপসাম সার ক্লোরোফিল গঠনে ভূমিকা রাখে, তেল ও বীজ উৎপাদন এবং হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।
তবে জমিতে জিপসাম সারের প্রয়োগ বেশি হলে গাছের উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণই বেশি হয়। এ সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে গাছের শিকড়ের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। ফলে গাছের শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমও কমে যায়। এতে গাছ দুর্বল থাকে, উচ্চতা যথার্থভাবে বাড়ে না এবং ফলন কমে যায়।

দাম কম হওয়ায় সাধারণত জিপসাম সারে কোনো ভেজাল দেখা যায় না। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ী এতে পানি মেশায়। কখনো কখনো চুনের গুঁড়া ও মাটির মিশ্রণও দেখা যায়। জিপসাম সার ভেজাল কি না তা সহজেই পরীক্ষা করা যায়। একটি কাচের বা চীনা মাটির পাত্রে এক চা চামচ জিপসাম সারের ওপর ১০ ফোঁটা পাতলা (১০%) হাইড্রোক্লোরিক এসিড মেশালে যদি বুদবুদ দেখা যায়, তবে ধরে নেওয়া যায় যে জিপসাম সারটি ভেজাল। ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন