ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালিয়াকৈরে মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করে জমি আত্মসাত করলো ছেলে

প্রকাশিত: ১১:৪১, ৮ জানুয়ারি ২০২১

কালিয়াকৈরে মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করে জমি আত্মসাত করলো ছেলে

গাজীপুরের কালিয়াকৈর টেংলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মহেলা খাতুনকে তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম কৌশল করে চিকিৎসার কথা বলে দলিল লেখক ও কমিশনকারককে ডাক্তার সাজিয়ে জমি হস্তান্তর করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । এখন কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্টার অফিসে দিনের পর দিন ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছে না মা মহেলা খাতুন।

দলিলদাতা ও কালিয়াকৈর সাব রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর টেংলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মহেলা খাতুন। বৃদ্ধ মহেলা বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ থাকায় জীবনের শেষ সময় পার করছে। আর এ সুযোগ নিয়ে তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম, দলিল লেখক ফিরোজ, কমিশনকারক কাওসার, আত্মীয় সাত্তার ও শাহজাহান মিয়া কৌশল করে চিকিৎসার কথা বলে দলিল লেখক ও কমিশনকারককে ডাক্তার সাজিয়ে জমি নেবার ঘোষণা, দলিল নং-৯৭৭৪ তারিখ-৩০.১২.২০২০ইং হস্তান্তর করে নিয়ে নেন। যদিও কমিশন করে দলিল হস্তান্তর করার কথা দাতার নিজ বাড়িতে কিন্তু তা না করে হস্তান্তর করা হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলার নামাশুলাই এলাকার অভিযোগের ২নং আসামী সাত্তার মিয়ার বাড়িতে। দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে একথা বৃদ্ধা মহেলা যখন শুনতে পেলেন তিনি কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্টার অফিসে কোন প্রতিকার না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় নিজের ছেলে সাইফুল ইসমাল, সহযোগী সাত্তার, শাহজাহান মিয়া ও দলিল লেখক ফিরোজের নামে একটি অভিযোগ দায়ে করেন। এর পরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী ও তার ওয়ারিশানগন।

দলিলদাতা মহেলা বেগম জানান, আমাকে আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে ছেলে সাইফুল কিছু লোক ডেকে এনে কাগজে স্বাক্ষর ও টিপসই নেন। আমি কারো কাছে জমি বিক্রয় করিনি এবং দলিল করে দেয়নি। যেখানে স্বাক্ষর দিয়েছি সে স্বাক্ষর আমি বাতিল চাই।

মহেলা বেগমরে অন্য ওয়ারিশিয়ানগণ মেয়েরা জানান, মাকে আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলে ডাক্তারের কাগজে স্বাক্ষর লাগবে বলে বড় ভাই সাইফুল দলিল করে নেন। আমরা এর আইনগত প্রতিকার চাই। কমিশনে যে গিয়েছেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন কমিশনে কাওসার সাহেব গিয়েছিলেন তিনি কেন আমার মাকে জিজ্ঞেস করল না? সম্পত্তি কি তিনি বিক্রয় করবে? কতটুকু সম্পত্তি বিক্রি করবে? কাকে সম্পত্তি দিচ্ছে? এসব কিছু জিজ্ঞাসা করেননি তিনি। কেন জিজ্ঞেস করল না কাওসার সাহেব? দলিল লেখকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন দলিল লেখক আমাদের এবং আমার মাকে না জানিয়ে শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

দলিল লেখক ফিরোজের সাথে কথা বলতে গেলে বক্তব্যের জন্য একের পর এক তারিখ দিতে থাকে। পরে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে। আমার মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যেভাবে চায় সেভাবেই কাজ করা হবে। প্রয়োজনে দলিল বাতিল করে তাদেরকে সংশোধন করে দেব।

কালিয়াকৈর সাব রেজিস্টার অফিসের পিয়ন (দলিল কমিশনকারক) কাওসার আহম্মেদ জানান, আমি দাতাকে জমি দিবে কি না বলেছি। তিনি দিতে চেয়েছে। তাছাড়া কমিশনে গেলে দাতা মাথা নাড়িয়ে শিকার করলে। আমরা দলিল করে থাকি।

কালিয়াকৈর সাব রেজিস্টার মোজাহার ইসলামের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

গাজীপুর কথা