ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে বনে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২১:১২, ২২ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরে বনে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

গাজীপুরে বনে জবরদখল উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন।

গাজীপুরে বনাঞ্চলে জবরদখল উচ্ছেদে সম্প্রতি উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বন বিভাগের অধীনস্থ রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনটির আয়োজন করে গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)। মানববন্ধনে গাপা’র শতাধিক সদস্য ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, তীব্র তাপদাহে আজ ঘরে বাহিরে কোথাও থাকা যাচ্ছে না, জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শিল্পায়নের নামে বনাঞ্চল উজাড় করায় জলবায়ু এমনভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

এছাড়াও বনের জীববৈচিত্র্য চরম সংকটাপন্ন ও বিলীনপ্রায় বলে মনে করেন তারা। শিল্প প্রতিষ্ঠান ও রিসোর্ট-কটেজ সরকারি বনভূমি দখল করে বন উজাড় করেছেন তাদেরকে উচ্ছেদসহ জড়িত বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা)’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন সবুজ বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালতে গাপা’র সাধারণ সম্পাদকের দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়’ এবং অধীনস্থ সংশ্লিষ্টদের প্রতি গাজীপুরের বনভূমিতে জবরদখল উচ্ছেদে রুল জারিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।

গাপা’র সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা জানি সরকারি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের মোট বনভূমির প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তা বেড়ে এখন দ্বিগুণের পথে। বন বিভাগের কতিপয় লোকজনের সহায়তায় প্রভাবশালী শিল্প ও রিসোর্ট মালিকরা এসকল জবরদখল করায় এদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

গাপা’র সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস বলেন, আমরা সবাইকে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছি। সেটা হলো, আমরা যদি এই পরিবেশ, এই গাছ রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমরা এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, বন জবরদখল উচ্ছেদ ও উজাড় রোধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথভাবে পালনের জন্য বন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অবৈধ সকল করাতকল বন্ধ করতে হবে এবং যেগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে আমরা বন বিভাগকে সহায়তা করতে চাই।

তারেক রহমান জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম, গাপা'র সদস্য এনামুল হক, গাপা'র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রহমান, সদস্য মো. হাসান আলী, শেখ শহিদুল ইসলাম, আল ইহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসাইন মনির, গাছা প্রাইভেট স্কুল সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসাইন, সদস্য নব কুমার দত্তসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।