সংগৃহীত ছবি
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব, সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। তিথি অনুযায়ী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে সকালে অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠীপূজা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় দেবী দুর্গার বোধন ও অধিবাস। মর্ত্যে এলেন দেবী। ভক্তদের প্রত্যাশা, দেবীর আশীর্বাদে সব অমঙ্গল দূর হবে।
ঢাকের বাদ্য মনে করিয়ে দেয় এসেছে দুর্গোৎসব। সনাতন ধর্মের বাঙালি অনুসারীদের এটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব। কালপরিক্রমায় যা সর্বজনীন রূপ পেয়েছে। শরৎকালে এই পূজা হয়ে থাকলেও ধর্মীয় বিধানের কারণে এবারে হচ্ছে হেমন্তের শুরুতে। ৫ দিনের উৎসবের প্রথম দিনে মহাষষ্ঠীর সকালে নানা উপাচারে আর প্রার্থনায় মর্ত্যে আবাহন করা হয় দেবী দুর্গাকে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভোরে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহাষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকের বাদ্য ও শঙ্খধ্বনিতে চলে দেবী দুর্গাকে বরণের আয়োজন। পরিবার-পরিজন নিয়ে পূজায় অংশ নেন ভক্তরা।
ফুল, ফল, ধান, দূর্বা, তুলসি সহ ১৬ ধরণের উপাচারে পূজিত হন দেবী দুর্গা। পূজারীরা জানান, সকল প্রাণ ও প্রকৃতির মঙ্গল কামনাই এই পূজার মূল উদ্দেশ্য।
সর্বজনীন এই দুর্গোৎসব সকল স্তরের মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করবে, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।
বিকেলে কারওয়ান বাজারে মিডিয়া পাড়ার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িকতা শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবারই স্বাধীনতা এনেছে। এদেশে সবারই সমান অধিকার।
যে কোন উৎসব ও পার্বন মানেই আনন্দ সবার। এ ভাবনা থেকেই কারওয়ান বাজারের মিডিয়াপাড়ায় আয়োজন করা হয়েছে এবারের দুর্গোৎসব, ‘সবাই মিলে বাংলাদেশ’।
সারাদেশে এবার ৩২ হাজারেরও বেশি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গা পূজা। মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।