গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তিন এলাকায় দুই নারী ধর্ষণ ও আরেক নারী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গত দুইদিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, একই উপজেলার কাঠুরিয়া (ভান্নারা) এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে সাব্বির হোসেন স্বাধীন (২২), পৌরসভার হরিণহাটি এলাকার মৃত রমনী কান্ত দাসের ছেলে চন্দন সরকার দাস (৩২) ও মাটিকাটা ছাপড়া মসজিদ এলাকার চয়ন কান্তি দাস (২৭)।
ধর্ষণের শিকার দুই নারীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কাঠুরিয়া গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ১৩ জানুয়ারি বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন সাব্বির হোসেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেন তিনি। কিন্তু ঘটনাটি ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারের সদস্যদের জানায় এবং তার পরিবার গত ১৬ জানুয়ায়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শনিবার রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, মাটিকাটা ছাপড়া মসজিদ এলাকায় এক গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণ করেছেন চয়ন কান্তি দাস। এ ঘটনাও মামলা করেছে ভিকটিমের পরিবার। পরে মামলার সূত্র ধরে শনিবার রাতে চয়ন কান্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ জানুয়ারি রাতে সুযোগ বুঝে এক নারী শ্রমিকের মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চন্দন সরকার। কিন্তু ওই নারী শ্রমিকের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় শনিবার রাতে একটি মামলা হলে পলিশ চন্দন সরকারকে গ্রেপ্তার করে।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান জানান, পৃথক তিন ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর কথা