গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাদরাসার নামে জামায়াত-শিবিরের ছদ্মবেশে জঙ্গী কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে উদ্বোধনের পর পরই প্রতিষ্ঠানটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। উপজেলার বাড়ইপাড়া হিজলহাটি ফার্মবাজার এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুমোদনবিহীন কালিয়াকৈর উপজেলা বাড়ইপাড়া হিজলহাটি ফার্মবাজার এলাকায় তা’লীমুল কুরআন নূরানী একাডেমি মাদরাসা করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এরপর তারা গোপনে ওই প্রতিষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন এলাকার জামায়াত-শিবিরপন্থী ১২ জন নিয়োগ দেন।
পরে গোপনে তারা নার্সারি হতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের ভিতরে তারা বিভিন্ন সময় গোপন মিটিং করে থাকে।
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন কাউকে না জানিয়ে গোপনে গাজীপুর জেলা জামায়াত ইসলামের কর্ম পরিষদের সদস্য ও সাবেক কালিয়াকৈর উপজেলা জামায়াত ইসলামের আমির মো. সফি উদ্দিনকে দিয়ে ওই মাদরাসাটি উদ্বোধন করানো হয়। গোপনে উদ্বোধন করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে মাদরাসার নামে জামায়াত-শিবিরের জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা সন্দেহের আশঙ্কা করে স্থানীয় লোকজন। পরে তারা ওই মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে স্থানীয় আটাবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা অলুকে অবগত করেন। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে জামায়াত ইসলামের কালিয়াকৈর উপজেলা পশ্চিম শাখার সদস্য শহিদুল ইসলামকে ডেকে পাঠান। পরে তাকে বাকি প্রতিষ্ঠাতাদের ডেকে স্থানীয় লোকজনের সাথে বসে মাদরাসাটি জঙ্গী তৎপরতার জন্য করা হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার করতে বলেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা অলু জানান, স্থানীয় লোকজনকে না জানিয়ে ওই মাদরাসাটি করেছে জামায়াত-শিবিরের লোকজন। পরে তারা বিভিন্ন সময় সেখানে রাতের আঁধারে গোপন মিটিং করে। ফলে জঙ্গী তৎপরতা সক্রিয় হওয়ার সন্দেহ হলে এলাকার লোকজন ওই প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ ফালাক উদ্দিন মৃধা জানান, কিছুদিন ধরে জামায়াত-শিবিরের লোকজন এখানে মাদরাসা করেছে। সেখানে বসে মাদরাসার নামে জামায়াত-শিবিরের লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে নানা পরিকল্পনা করছে, এমন সন্দেহ হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন জানান, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।
গাজীপুর কথা